মোঃমহিউদ্দীন খাঁন।কমলগনঞ্জ(মৌলভীবাজার)প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ভাইরালের পর পুলিশ একটি মাইক্রোবাস সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ৪ঠা নভেম্বর দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সংবাদ সম্মেলন করে জানান যে, সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামীদের সনাক্ত করা হয়েছে।গেল গভীররাতে বিদেশ যায়ার সময় মামলার অন্যতম প্রধান আসামী খালেদ মিয়াকে ঢাকার কমলাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট, টিকেট, ২টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, ২ টি মোবাইল ফোন, ৫টি দেশী-বিদেশী সিমকার্ড ও ৩৩৮ দেহরাম। এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ী চালক আমির হেসেন হিরা,জুয়েল মিয়া ও তফজ্জুল আলী সহ মোট ৪ জনকে গ্রেফতার হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান যে,চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান ও পরিকল্পনাকারী জুয়েল মিয়ার মধ্যে পূর্বথেকে বিরোধ চলছিল।এসব বিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম মুজাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক,কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়ারদৌস হাসান,জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মোঃ বদরুজ্জামান সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
দুর্বৃত্তরা মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসায় বসে বৈঠক করে গত রোববার (৩১শে অক্টোবর) দুপুর ২ ঘটিকায় মাইক্রোবাস যোগে চৈত্রঘাট বাজারে নাজমুলের বাসার সম্মুখে উপর্যুপরি হামলা করে পালিয়ে যায়।পরবর্তিতে স্থানীরা গুরুতর আহত অবস্তায় নাজমুলক উদ্ধার করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঔদিন সন্ধ্যা ৭ টায় তাঁর মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহতবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মৃত্যুর আগে নিহত নাজমুল হাসান লাইভ করে ঘটনাকারীদের নাম জানায়। এর পরে সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণ করা নৃশংস হত্যা কান্ডের পুরো বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে।আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়েছে।অন্যন্য আসামীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।