বুধবার, ৩১ মে ২০২৩, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
Headline :
রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট ঘোষণা রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ নীলফামারীতে ২ টি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১ ডাসারে ওয়ার্ড আ.লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত নীলফামারীতে জিএম কাদেরের গাড়ি বহরে পথরোধ করে নির্বাচনী মনোয়ন দাবী ঝিকরগাছায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের অবস্থান কর্মসূচি পরীক্ষিত ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করা এখনই সময় হোপ বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজনে মুরগী ও ছাগলের খামার বিতরণ হরিণাকুণ্ডু’র চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা মান্দায় ১৪ নং বিষ্ণুপুর ইউপিতে উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বি জি এম স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত রামপালে বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন নীলফামারীতে পুকুরে ডুবে নিহত এক যুবক রামপালে গাঁজাসহ আটক দুই ভাওয়ালের বন সংরক্ষণে স্বল্প মেয়াদি বাগানে চারা রোপন চাকই মরিচা ভবানীপুর বাজারে আজ ৫ম বার্ষিকী নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী রাশেদুল ইসলাম ও ইসমাইল মোল্যা। নীলফামারীতে টয়লেট থেকে বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার রামপালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে যুবলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও শান্তি সমাবেশ বজ্রপাতে রামপালের এক শ্রমিক নিহত আহত এক আমতলী মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা,মুঠোফোন জব্দ পীরগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু জামালপুরের ইসলামপুরে ইজিবাইক চাপায় শিশুর মৃত্যু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্যাটারী রিক্সা সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠিত রামপালের হুড়কা ইউনিয়নে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা হিন্দু ধর্মীয় নতুন আইন বাতিলের দাবিতে ডিমলায় মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল গাজীপুরে বনের জায়গা দখল করে বাড়ি নির্মাণ ও বিট কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ  নূরুল্যাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর অপসরনের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট রামপালে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অভয়নগরে প্রভাবশালীদের ইন্ধনে সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মাণ অভয়নগরে প্রেমবাগ ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি:

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে

সুমাইয়া আক্তার শিখা স্টাফ রিপোর্টারঃ
দিন যত যাচ্ছে ততই ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে
যাচ্ছে করোনা ডেডিকেটেড ২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা পরিস্থিতি। এক-দেড় ঘণ্টা ব্যবধানে ঘটছে একেকটি মৃত্যু। একইসঙ্গে ছটফট করছেন অসংখ্য করোনা আক্রান্ত মানুষ। চিকিৎসকরা বলছেন, এটি নিরুপায় পরিস্থিতি, তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ১৩ জন। এ ছাড়া, উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও তিন জন।

হাসপাতাল সূত্র বলছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত সেখানে ২৫২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন।

এত বিশাল সংখ্যক রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার মতো সামর্থ্য হাসপাতালের নেই বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার।

তিনি জানান, অসংখ্য রোগীকে তারা সাপোর্ট দিতে পারছেন না। রোগীদের যে ধরনের চিকিৎসা দরকার তার ব্যবস্থা এখানে নেই। তার দেওয়া হিসেবে, ২৫২ জন রোগীর মধ্যে অধিকাংশেরই অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। এর মধ্যে, প্রায় শতাধিক আক্রান্তের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫ থেকে ৭০ ভাগ।

তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘হাসপাতালে একটি সি-প্যাপ, একটি বি-প্যাপ, চারটি আইসিইউ ও ২৪টি এইচডিইউ বেড আছে। এই ২৪টি শয্যায় মূলত জটিল রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, যেখানে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ অন্যান্য আধুনিক উপকরণ ব্যবহার করা হয়। বাইরে অন্য রোগীদের সাধারণ বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা অথবা সিলিন্ডারে অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ আছে ৬৪টি বেডে। উচ্চমাত্রার (হাই-ফ্লো) অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব ২২ জনকে।’

‘যাদের স্যাচুরেশন ৪৫ থেকে ৭০ ভাগ, এমন সবাইকেই উচ্চমাত্রার অক্সিজেন দেওয়া দরকার, কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না। তাদেরকে হয় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা অথবা সিলিন্ডারের অক্সিজেন দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে’, বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন প্রায় ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন হচ্ছে। হাসপাতালে আছে ৬৪৭টি সিলিন্ডার। এ ছাড়া, ছয় হাজার লিটারের সেন্ট্রাল অক্সিজেন রয়েছে। সেটা দিয়ে ১০ জনকে ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়।’

হাসপাতালে দায়িত্বরত অনেক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক আকরামুজ্জমান মিন্টু বলেন, ‘গত সাত-আট দিন ধরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে রোগীরা আসছেন। আবার তারা নিজ বাড়িতে ৭-৮দিন আইসোলেশনে থাকার পর আসছেন, যখন অবস্থা সাংঘাতিক হয়ে যায় তখন। শেষ সময়ে হাসপাতালে আনা হয় তাদের। ততক্ষণে চিকিৎসকদের কিছুই করার থাকে না। বেশিরভাগ রোগীর অক্সিজেন লেভেল আশির নিচে চলে যায়।’

তিনি জানান, এসব রোগীদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি। এ ছাড়া, এসব রোগীদের অধিকাংশ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, অ্যাজমা, হাইপারটেনশন, ব্লাড প্রেশার ও লিভারের রোগে আক্রান্ত। হাজারো চেষ্টা করেও তাদের বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

করোনা ইউনিটে কাজ করছেন চিকিৎসক রাজীব মৈত্র। তিনি বলেন, ‘প্রায় একশর বেশি রোগী আছেন, যাদের স্যাচুরেশন ৬০ ভাগের নিচে। তাদের উচ্চ মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া দরকার। কিন্তু সামর্থ্য নেই।’

রাশিদুজ্জামান জানান, আক্রান্ত হওয়ার পর দৌলতপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে তার স্ত্রীকে হোম আইসোলেশনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। হোম আইসোলেশনে অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি তাকে সরাসরি এই হাসপাতালে আনেন।

তিনি জানান, এখন ডাক্তার বলছে রোগীর অবস্থা খারাপ।

রোগীর ভিড়ে হাসপাতালের কোথাও পা ফেলার জায়গা নেই। গাদাগাদি অবস্থা। খোদ হাসপাতালের মধ্যেই বিন্দুমাত্র সামাজিক দূরত্ব নেই। রোগীর স্বজনরা বসে বা শুয়ে আছেন রোগীর পাশেই।

আছে জনবল ও জায়গার অভাব সংকট। চিকিৎসক, নার্স, আয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাই সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, রোগীর চাপ বাড়ছেই। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। করোনামুক্ত হচ্ছেন তার অর্ধেকেরও কম। যার কারণে রোগী ডাম্পিং হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও কিছু চিকিৎসা যন্ত্রপাতি দিয়েছে। সেগুলো অন দ্য ওয়ে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তার জেলা ভালো নেই। খুলনা বিভাগে কুষ্টিয়ার অবস্থান উদ্বেগজনক। সব উপজেলায় বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা।

তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেই ডাক্তাররা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


Our Like Page