পটিয়া (ট্টগ্রাম) প্রতিহিধি:-
দীর্ঘদিন একটি সিন্ডিকেট শ্রীমাই খালে বালু উক্তলন করে আসছিল। পটিয়ার শ্রীমতি খালের বাহুলী মৌজার কোন বালু মহাল ইজারা না হওয়া সত্তেও সেখান থেকে অবৈধভাবে খালের বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠে । গত শনিবার স্থানীয় অধিবাসী কর্তৃক অভিযোগ পেয়ে বাহুলী মৌজা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় পটিয়া উপজেলা প্রশাসন। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুনের নির্দেশে পটিয়া ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহানসহ থানার একদল পুলিশ বালু উত্তোলনস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ শ্রীমতি খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সদ্য খনন করা খাল ও নির্মাণ করা বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও থানার ওসি বরাবরে অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই গ্রামরক্ষায় গত কয়েক বছর আগে প্রথম দফায় শ্রীমাই খালের আর.এস সিট মোতাবেক পটিয়া আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরী মূল খাল খনন করে দেন। এরপর গত কয়েকমাস আগে ওই খালের গভীরতা বাড়িয়ে ও বেড়িবাঁধ তৈরি করেন। এর ফলে গত প্রাকৃতিক দুর্যোগে পটিয়া পৌর এলাকাসহ বড় একটি অংশ ক্ষয়ক্ষতির কবল থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু হঠাৎ কয়েক সপ্তাহ ধরে মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছেমত স্থান থেকে বালু কেটে বিক্রি করে আসছিল। এর ফলে সদ্য খনন করা খাল, বেড়িবাঁধসহ ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুল মামুন জানান, শ্রীমাই বালু মহাল ইজারা নিয়ে ইজারাদার ইজারাকৃত জায়গা বাদ দিয়ে ভিন্ন স্থানের বাহুলী পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে । স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ বালু মহালটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও যদি সেখান থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে শ্রীমাই খালের রেল সেতু ও সড়ক ও জননপথ বিভাগের শ্রীমাউ ব্রিজ ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়েছে। যেকোনো মুহূর্তে রেল সেতু ও ব্রিজ ভেঙে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছে স্থানীয়রা।