মোঃ আল আমিন সিংড়াঃ
নওগাঁয় তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে মাইক্রোবাস যোগে অপহরণ করতে গিয়ে নাটোর জেলা সিংড়া উপজেলার ৫ জন ব্যাক্তি আটক হয়েছেন। ঐ ৫ জনকে গ্রামবাসী আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
এঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আটককৃত ৫ জনকে বুধবার বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ। এঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধা রাতে নওগাঁর মান্দা উপজেলার রামনগর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।
আটককৃতরা হলেন,
নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার মহিষমারী গ্রামের মহসীন আলী (৩০), ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ (২৫), মানসুরুল ইসলাম (৩৬), জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও নাজমুল হোসেন (২৫)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার রামনগর গ্রামের হজরত আলীর মেয়ে মুক্তা পারভীন রাজশাহী শহরে থেকে লেখাপড়া করার সময় নাটোরের সিংড়া উপজেলার মহিষমারী (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মহসীন আলী প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২০১৬ ইং সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর একটি আদালতে নিয়ে তাকে বিয়ে করে রাজশাহী শহরের একটি ভাড়াবাসায় বসবাস করছিলেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য উজ্জল হোসেন জানান, মঙ্গলবার সন্ধার পূর্বে একটি মাইক্রোবাসে স্বামী মহসীন আলী ৯/১০ জন লোক নিয়ে মুক্তা পারভীনের বাসায় আসেন। এসময় তারা মুক্তা পারভীনকে ঐ মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানিয়রা ধাওয়া করে রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় আটক করেন।
ভিকটিম মুক্তা পারভীন জানান, বিয়ের কিছুদিন পর বাড়িতে তুলে নেয়ার জন্য চাপ দিলে স্বামী মহসীন আলী তার বাড়িতে নিয়ে বিভিন্নভাবে টালবাহানা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে আমার উপর নির্যাতন শুরু করলে গত ১৯ এপ্রিল তালাক দেওয়ার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এনিয়ে উভয় পরিবারের মাঝে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি।
এর মাঝে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মহসীন আলী ৯/১০ লোক নিয়ে আমাদের বাড়ি আসেন। বাড়িতে লোকজন না থাকার সুযোগে আমাকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করেন তারা।
এঘটনায় মুক্তা পারভীন বাদি হয়ে সাবেক স্বামী মহসীন আলী সহ আটককৃত ৫ জন সহ মোট ৮ জনের নাম উল্লেখ করে মান্দা থানায় মামলা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান জানান, ভিকটিমের দায়েরকৃত মামলায় আটককৃত ৫ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।