আলিফ আরিফা হক ঃ
ভারতীয় আই কার্ড রেশন কার্ডের সুবিধাভোগী নাগরিক মিথুন সাহা। থাকেন কলকাতায়। কিন্তু সম্প্রতি নরসিংদী জেলা যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। কলকাতা থেকেই তিনি নাড়েন কলকাঠি। নরসিংদী জেলা যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে মিথুন সাহাকে দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, মিথুন সাহা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে মামলা খেয়ে নিয়মিত থাকছেন ভারতের কলকাতায়। একই সাথে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দেশেরই ভোটার আইডি প্রাপ্ত, আই কার্ড রেশন কার্ডের সুবিধাভোগী দ্বৈত নাগরিক এই মিথুন সাহা।
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, সেখানে থেকেই মিথুন সাহা কালো টাকার বিনিময়ে বাগিয়ে নিয়েছেন নরসিংদী জেলা যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ। আর সেই পদকে পুঁজি করে সেখান থেকেই বিভিন্ন অবৈধ কায়দায় কামিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।দীর্ঘ প্রায় এক দেড় যুগ পর নতুন করে গঠিত হওয়া নরসিংদী জেলা যুবলীগের কমিটি।
এবারের কমিটিতে পদ-পদবি পাবার আশায় বুক বেঁধেছিল নরসিংদী জেলা যুবলীগের দীর্ঘদিনের কাণ্ডারি, পরিশ্রমী ও জনপ্রিয় সংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ কর্মীরা; কিন্তু জেলার আওয়ামী রাজনীতির গ্রুপিং কোন্দল লবিং আর পদ বাণিজ্যের জাঁতাকলে পড়ে তারা পদ বঞ্চিত হলেও মিথুন সাহার মত অনেকেই আসীন হয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবনেতা জানিয়েছেন তার নানা অপকর্মের ফিরিস্তি।তার আশীর্বাদ পুষ্ট না হলে অনেক নেতাকর্মীদেরই পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন রোষানলে! হতে হচ্ছে গ্রুপিং ও চরিত্র হননের স্বীকার। কলকাতা থেকে দেশে না ফিরলেও, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে বিভিন্ন নামে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় অর্ধশত ফেইক আইডি, গ্রুপ ও পেইজ।
রয়েছে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালও! আর এসবকে পুঁজি করে সে অনলাইনেই একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, গড়ে তুলেছে অবৈধ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের বলি হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মী। মোটা টাকা চাঁদা না পাঠালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বীকার হতে হচ্ছে চরিত্র হনন আর বিভিন্ন অপবাদের।নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ, বহুল আলোচিত নরসিংদীর সাবেক পৌরমেয়র ও তার পরিবারের আশীর্বাদ পুষ্ট হওয়ায় প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর হওয়ায় ভয়ে এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হন না অনেক নেতাই। আর এসব নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা আর গুঞ্জন।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় এভাবে নেতৃত্ব দেওয়া মিথুন সাহাদের থেকে জেলা যুবলীগকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ চেষ্টা করছেন সংগঠনটির ত্যাগী, পরিশ্রমী পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ।এসব বিষয়ে জানতে মিথুন সাহার ফেসবুক আইডিতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।