মোঃ গোলাম মোস্তফা,নান্দাইল (ময়মনসিংহ) :
কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে ময়মনসিংহের নান্দাইলে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজার থেকে চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ বাজার ব্রিজের পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এক কিলোমিটার গ্রামীণ পাকা রাস্তা ভেঙ্গে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন প্রবেশমুখে এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।বাজারের পানি সড়কটির শুরুর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বর্তমানে ৫০-৬০ ফুটের মতো অংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী ও সাধারণ মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন প্রবেশমুখে রাস্তাটি ভেঙ্গে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করেও ভাঙ্গনরোধ সম্ভব হয়নি।
সকাল থেকে রাত অবধি এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী সিএনজি, অটোরিকশা, ইজিবাইক,মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। রাস্তায় বিশাল গর্তের কারনে যানবাহন ও জনসাধারনের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।স্থানীয়রা বালির বস্তা দিয়ে রাস্তাটি রক্ষার চেষ্টা করলেও ভাঙ্গনরোধ করা সম্ভব হয়নি।
সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পর স্থানীয় এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন বছর দুয়েক হলো এক কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তা পাকা করে দিয়েছেন। এতে উপকৃত হয়েছেন কৃষি প্রধান চরাঞ্চলের হাজার হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের কারনে বিলিন হচ্ছে কোটি টাকার রাস্তা। এ সড়ক দিয়ে ধলা,চরউত্তরবন্দ, চরকোমরভাঙ্গা যাওয়ার জন্য প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বাজারের পানি সড়কটির একটি অংশ দিয়ে পাশের জমিতে নামতে শুরু করে। প্রথমে অল্প পরিমাণে ভাঙন শুরু হলেও লাগাতার বৃষ্টির কারনে বড় ভাঙনের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া জানান, অল্প পরিমাণে ভাঙন শুরুর পরেই যদি ভাঙন রোধ করে বৃষ্টির পানি নামার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো তাহলে সড়কটির কোনো ক্ষতি হতো না।
অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম, কালামসহ অনেকই জানান,রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের গাড়ি নিয়ে চলতে সমস্যা হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী আল-আমীন সরকার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছি। খুব শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।