এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
১ আগস্ট ২০২১ রবিবার বিকাল ৫ টার দিকে নড়াইল সদর উপজেলার শোলপুর গ্রামে আল- মামুনের, সুদের কারবার ও প্রতারণার বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রবিবার শোলপুর বিধানের মোড়ে কয়েক শত মানুষ একত্রিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধন করেন আল-মামুনের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে।
সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধনে উপস্থিত স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহন করেন। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, সিঙ্গাশোলপুর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খয়রুজ্জামান মোল্যা (খায়ের), চাচুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম (হিরক), এস এম আলমীগর হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্থ ভিম বিশ্বাস প্রমূখ।
সূত্রে জানা যায়, আল-মামুন শেখের, কাছ থেকে এলাকার কয়েকশত মানুষ সুদে টাকা ধার নেয়। ওই সুদে ব্যবসায়ী তিনি বাগেরহাট জেলখানায় কারারক্ষী হিসাবে কর্মরত আছেন। সুদে ব্যবসায়ী আল-মামুন শেখের হাত থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ সুদে টাকা নিয়ে সর্ব শান্ত হয়ে ভিটে মাটি ছাড়া হয়ে গেছে। এলাকার ৩ শতাধিক পরিবার তাদের সম্বল হারিয়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট ভারতে পাড়ি দিয়েছেন। তার চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের কারবারে দিশেহারা হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেকে। সম্প্রতি সময়ে পাশের গ্রাম হাড়িয়ারগোপের ভিম বিশ্বাস, ৩ (লাখ) টাকা ৫% হারে সুদে নিয়ে পৈত্রিক সম্পত্তি লিখে দিয়ে ও পার পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিম বিশ্বাস আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আমি ১জন মৎস ব্যবসায়ী মাছ চাষ করে বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করি। ১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে অধিক লাভের আশায় আল-মামুন শেখের নিকট ৫% হারে ৩ লাখ টাকা সুদে নিয়েছিলেন। আর বিনিময়ে আল-মামুনকে দেওয়া হয় ৩ টি স্বাক্ষরিত সাদা চেকর পাতা। এই সাদা চেকর পাতা দিয়ে আমি বিপাদে পড়ে যাই। সুদের উপর সুদ দিয়েও পার পাচ্ছিনা। ৩ লাখ টাকার বদলে ৭ লাখ টাকার জমি লিখে দিয়ে চেক ফেরত চাইলে ও চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে নিজেকে প্রশাসনের বড় অফিসার দাবি করে ভয় ভীতি প্রদর্শন করছে। বাগেরহাটের জেলার কারারক্ষী বলে প্রশাসন দিয়ে আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি সহ ভয়-ভীতি দেওয়া হচ্ছে আমাকে প্রতিনিয়ত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আল- মামুন ১ জন চিহ্নিত সুদে ব্যবসায়ী। তার সুদে ব্যবসায় সর্বশান্ত হয়ে গেছে একাধিক পরিবার। তার সুদে ব্যবসায় বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে তার হাত থেকে ভিম সহ এলাকার সাধারন মানুষদের বাঁচানোর জোর দাবি জানিয়েছেন।
আল-মামুনের ভাই আনিচ জানান, আমার ভাই বাগেরহাটে জেলখানার কারারক্ষী পদে কর্মরত আছেন। ভিম আমার এবং গ্রামের অনেকের উপস্থিতিতে তার পাওনা টাকা সুদ সহ পরিশোধ করেছে। কিন্তু ভাবি অসুস্থতার অজুহাতে তখন চেক ফেরত দেয় নি। এখন আল- মামুন নতুন করে টাকা দাবি করছে বলে জানা যায়।
শোলপুর গ্রামের রাজু বলেন, আল-মামুনের সুদে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকে ভারতে পালিয়ে চলে গেছে। তিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা সুদে দিয়ে সেই টাকা হতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা সুদ নিয়ে থাকেন।
অভিযুক্ত আল-মামুন জানান, আমি কোন সুদে ব্যবসা করিনা দাবি করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।