কাপাসিয়া প্রতিনিধ
কাপাসিয়া উপজেলা, সিংহশ্রী ইউনিয়নের বরিবাড়ী গ্রামে একটি বালিকা দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে। উক্ত মাদরাসায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সকল নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে, যদিও দু-একটি পদ ব্যতীত অন্যসব পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া মাদ্রাসার সুপার এবং ম্যানেজিং কমিটির এখতিয়ার নেই। কারণ সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম সরাসরি এনটিআরসি কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে। এতদ্বসত্ত্বেও মাদ্রাসার সুপার সাহেব, মাহফুজা খাতুন (৪৫), ইনডেক্স নং- M0037218, কে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করে মার্চ ২০২৩ ইং সনের MPO ( Monthly Payment Order) তে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। যা শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা ও জনবল নিয়োগ কাঠামো ২০২১ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এছাড়াও একই অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে ২০১৬ থেকে ২০২০ এর মধ্যে জাল সনদ ধারী আরো তিনজন শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম (M0007695), হাসিনা আক্তার (N2117813) এবং নাজমা খাতুন (N2121107) কে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। আর এসব মানহীন শিক্ষক নিয়োগের ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে এবং ছাত্র-ছাত্রী ও কমে যাচ্ছে, যা উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন এই সব মানহীন দূর্নীতি যুক্ত অবৈধ ভাবে নিয়োগ কৃত শিক্ষক নামের কলঙ্কদের জন্য আজ হুমকির মুখে। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড কিন্তু তাতে ঘুনে ধরে গেলে গোটা সমাজ ব্যবস্থায় এর প্রভাব পড়বে মারাত্মক ক্ষতিকর।
দাখিল বালিকা মাদ্রাসার কমিটির পক্ষ হইতে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন যে, বড়িবাড়ী বালিকা দাখিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী প্রধান- রফিকুল ইসলাম একজন কুখ্যাত ব্যক্তি ও নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের সরকারের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া কাজের সাথে জড়িত।
সে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অবৈধ নিবন্ধন বিহীন দলীয় ক্ষমতার বলে এই শিক্ষক নামের অপরাধীদের নিয়োগ দেয়।এই ধরনের দুর্নীতির ফলে অসংখ্য সৎ, পরিশ্রমী এবং মেধাবী ছাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিভাবকরা এখন তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। মাহফুজা খাতুন সহ অন্যান্যদের এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়াটি গুরুত্বসহকারে যাচাই বাছাই করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তাদের বাড়বাড়ন্ত দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। শিক্ষা হবে ক্ষতিগ্রস্ত, আমরা হব মেরুদণ্ড হীন।