এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
দীর্ঘদিন যাবত যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় ও আশপাশের এলাকা গুলিতে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। যুব-সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষত শেষ পাশাপাশি শারীরিক অবস্থা ভালোনা ইতি মধ্যেই অনেক যুবক মা-বাবা ভাই-বোনসহ পৃথিবীর মায়া মমোতা ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। আগামী ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই হয়তো আবার অনেকে একই ভাবে পাড়ি জমাতে পারে। এ ব্যাপারে অভিভাবক মহল খুবই সংকিত।
এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্প নীরব ভূমিকা পালন করে তারা সবকিছু জেনেও না জানার ভান করে চলছে। অত্র এলাকার ভুক্তভুগী অভিভাবক মহল আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন যাবত এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী বিত্তবান ব্যক্তিদের যুবক ছেলেরা মাদকের বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এবং মাদকের নিরাপদ রুট হিসাবে বসুন্দিয়া মোড়ের আশপাশের আবাসিক এলাকা ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা।
প্রতিনিয়ত বহিরাগত যুবকরা মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ও মাইক্রো নিয়ে এসে ইয়াবা ফেনসিডিল ক্রয় করে নিয়ে যায়। এছাড়া এলাকায় বিভিন্ন মাদক স্পট রয়েছে, সেখানে দিন-রাত গাঁজা তারী ফেনসিডিল ইয়াবার রমরমা বিকিকিনি চলছে।
স্থানীয় বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্প, গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ, কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের নাম-ঠিকানা, স্পট সবই জানে। অথচ এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে, প্রতিবছরে মাদক ব্যবসায়ীরা যশোর র্যাব-৬, কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ, গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের হাতে মাদকসহ অনেক বার আটক হলেও তাদের উল্লেখযোগ্য শাস্তি হয় না। বরং কিছুদিন পর ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরে এসে দাপটের সাথে পুনরায় ব্যবসা চালিয়ে যায়। ফলে এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। কারণ এদের কাছে অবৈধ অস্ত্র থাকলেও থাকতে পারে।
তাই মাদকাযুক্ত যুব-সমাজের ভুক্তভোগী অভিভাবক মহল যুব-সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে বাঁচাতে যশোর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।