শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩২ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
Headline
Headline
জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটিতে আমান উল্লা আমান  ভাইস চেয়ারম্যান,নুরুল ইসলাম কমিশনার যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত  ইসলামপুরের নোয়ারপাড়া ইউনিয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুস ছালামের গনসংযোগ ও পথসভা নীলফামারীতে মাটি খননের সময় পাওয়া একটি মাইন ও একটি মর্টারসেলের বিস্ফোরণ করলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নওয়াপাড়ায় পানি ও স্যালাইন বিতরণ অব্যহত বাবার বাড়ি যাওয়ায় স্ত্রী’র শরীরের ২৭ স্হানে কোপালো স্বামী পটিয়ায় এমপি’র জন্মদিন পালন করেছে জঙ্গলখাইনে ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট আব্দুস ছালামের বেলগাছা ইউনিয়নে গনসংযোগ ও মতবিনিময় তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে আমতলীতে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় শ্রীপুরে রাতের আধারে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামীর বাড়িতে স্ত্রী’র আত্মাহত্যা রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ আমতলীতে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ৪৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ মোটরসাইকেল এর প্রার্থী এড মো আমানত হোসেন খামের পক্ষে কাপাসিয়া উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ১১ চেয়ারম্যান নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক ভাবে কাজ করছেন ইসলামপুরে মেনকেয়ার অ্যাপ্রোচ অভিযোজন বিষয়ক কর্মশালা মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী এমপি’র  জন্মদিন পালন করেছে পটিয়া উপজেলা কৃষকলীগ আলোচিত ভাইরাল তরুণী আমতলীর কে এই লামিয়া পটিয়ায় অসুস্থ কৃষকলীগ নেতা হারুন’কে দেখতে গেলেন  সৈয়দ নুরুল আবছার  গরু চুরি বন্ধ ও চোরদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন মধুপুরে জৈব কৃষি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত আমতলীতে ‘হিটস্ট্রোকে’ নারীর মৃত্যু
বাংলা নববর্ষের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
/ ১২৪ Time View
Update : শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৩, ৮:২৭ পূর্বাহ্ন

শ্রী ঃ মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া,নিজস্ব প্রতিবেদক:
চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে যাক সকল দুঃখ।
দেশ এবং প্রবাস যে যেখানেই আছেন সবাইকে বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আজ (১৪’ই এপ্রিল ২০২৩ইং) শুক্রবার, পহেলা বৈশাখ।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে নব-অঙ্গীকারে। সারাবছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে আজ নব-আনন্দে জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান জানাই।
পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন, তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদ্‌যাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। পহেলা বৈশাখ নতুন ভাবনা, নতুন এক মাত্রা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। বিগত বছরের গ্লানি, পুরাতন স্মৃতি, দুঃখ-বেদনা, অসুন্দর ও অশুভকে ভুলে গিয়ে নতুন প্রত্যয়ে আমরা এগিয়ে যাবো, এবারের নববর্ষে এ হোক আমাদের প্রত্যাশা।বাংলা নববর্ষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকলেও ব্যবহারিক জীবনে খ্রিষ্টীয় বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে এবং প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়’ সেদিকে খেয়াল রেখে নববর্ষ উদযাপন করতে হবে।নতুন আশা নতুন প্রাণ, নতুন হাসি নতুন গান,নতুন সকাল নতুন আলো,নতুন দিন হোক ভালো, দুঃখকে ভুলে যাই, নতুনকে জানাই স্বাগত।
ভারতবর্ষে মোগল সম্রাজ্য পরিচালিত হতো, হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে। আর হিজরি পঞ্জিকা চাঁদের উপর নির্ভরশীল। যেহেতু কৃষকদের কৃষি কাজ চাঁদের হিসাবের সাথে মিলতো না, তাই তাদের অসময়ে খাজনা দেয়ার সমস্যায় পরতে হতো। সেই কারণে খাজনা আদায়ে কৃষকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সম্রাট আকবর বর্ষ পঞ্জিতে সংস্কার আনেন। তখনকার বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সম্রাট আকবরের আদেশে সৌর সন ও হিজরি সন এর উপর ভিত্তি করে বাংলা সনের নিয়ম তৈরি করেন। ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে প্রথম বাংলা সন গণনা করা হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবেই খাজনা আদায়ে এই গণনা কার্যকর শুরু হয়েছিল ১৫৫৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে। পূর্বে ফসল কাঁটা ও খাজনা আদায়ের জন্য এই বছরের নাম দেয়া হয়ে ছিলো ফসলি সন। পরে তা বঙ্গাব্দ আর বাংলা সন করা হয়। তখন চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে খাজনা, শুল্ক দিতে হতো কৃষকদের। তাই তখন থেকেই সম্রাট আকবর কৃষকদের জন্য মিষ্টি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। হালখাতার প্রচলনও সম্রাট আকবরের সময় থেকেই ব্যবসায়ীরা করেছে।১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ৯৯২ হিজরিতে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে “বঙ্গাব্দ” বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। আকবরের সময়কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপন শুরু হয়।বর্তমানের বাংলা পঞ্জিকা ও বাংলা নববর্ষ পালন,বর্তমানের বাংলা সন এসেছে গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে। বাংলাদেশে এই গ্রেগরীয় বর্ষ পঞ্জি অনুসারে প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল শুভ নববর্ষ পালন করা হয়। ১৯৮৯ সাল থেকেই মঙ্গল-শোভাযাত্রা বাঙ্গালির নববর্ষ উদযাপনের একটি প্রধান আকর্ষন। উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালে ইউনেস্কো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা অনুষদ থেকে আয়োজিত যে মঙ্গল-শোভাযাত্রার বের করে, সেটিকে “মানবতার অমূল্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” হিসেবে ঘোষাণা করে। বাংলাদেশে নববর্ষ ১৪ এপ্রিল পালিত হলেও পশ্চিম বঙ্গে তা ১৫ এপ্রিল পালন করা হয়। কারণ, ভারতে হিন্দু সম্প্রদায় তিথি পঞ্জিকা অনুসরণ করে থাকে। বাংলাদেশে আধুনিক বাংলা বর্ষ পঞ্জিকায় গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা একাডেমি কর্তৃক ১৪ এপ্রিল বাংলা বছরের প্রথম দিন নির্দিষ্ট করা হয়।

বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় নিয়ে দু’টি গোত্র লক্ষ্য করা যায়। কেউ বলে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে বাংলা বছরের শুরু হয়, তাই শুভেচ্ছা তখনই দিতে হবে। আর অপর পক্ষ বলে ইংরেজি পঞ্জিকার ন্যায় রাত ১২টার পরেই পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে হয়। আসলে কোনটি সঠিক? ভোরের আলো ফুটার আগে কি আমাদের দেশে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না? যেহেতু আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা গ্রেগরীয় পঞ্জিকা অনুসরণ করে, তাই সে নিয়ম অনুযায়ী রাত ১২টার পরেই আমাদের নতুন বছর শুরু হয়ে যায়। তাই, আমাদের দেশে আমরা রাত ১২টার পরেই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে পারি।

গ্রামীন রীতি অনুসারে ভোর সকালে কৃষকেরা নতুন জামা গায়ে দিয়ে পরিবারের সাথে নানান পদের ভর্তা দিয়ে পান্তা ভাত, পিঠা-পুলি, মিষ্টি খেয়ে দিনটি সূচনা করে। তাছাড়া, কয়েকটি গ্রাম মিলে বৈশাখী মেলার আয়োজন করতো। সেখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও তাদের পণ্য মেলায় উঠাতেন। কেউ মাছ, কেউ খেলনা, কেউবা শাড়ি-চুড়ি, চুলের ফিতা। ধারণা করা হয় আমাদের ইলিশ মাছ খাবার ঐতিহ্য এই মেলা থেকেই এসেছে। আগে মাটির ঘোড়া রাখা হতো, এরপর থেকে মেলায় নাগর-দোলা, চরকা, ঘোড়ার আকারে ঘূর্ণী দোলনা রাখা হয়।

প্রতি বছর রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠান থাকে। সূর্য উঠার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূল গানে গানে মুখরিত হয়ে উঠে। সকলে মিলে একই সুরে গেয়ে ওঠে-“এসো, হে বৈশাখ এসো এসো”। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে গ্রামীন সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন মুখোশ ও মুর্তি বানিয়ে ঢাকার রাস্তায় শোভাযাত্রা করে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। এই শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারে সকলেই। এই বৈশাখী সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page
April 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031