এস এম খলিলুর রহমান,খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
২১ আগস্ট ২০২১ শনিবার বিকালে যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে মোমিননগর সমবায় সমিতির ভবনের উপরে যশোর আবাসিক হোটেল থেকে ২ জন পুলিশ সদস্যকে আটক করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১০ পিস ইয়াবা, ২ বোতল ফেনসিডিল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম বিশেষ ভাবে তৈরি ৪ টি পাইপ, লাইটার উদ্ধার করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ঢাকার ডিএমপিতে দায়িত্ব থাকা কালীন (বরখাস্ত) পুলিশের কনস্টেবল আজমল মোল্লা (৩০), ও চাঁচড়া চেকপোস্ট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত কনস্টেবল মুজাহিদ (২৭)। পুলিশ কনস্টেবল মুজাহিদের ব্যাচ (কং-১৭৩৪) নাম্বার ও আজম মোল্যা বরখাস্ত ব্যাচ (কং-১৩১১৬) নাম্বার।
পুলিশের সূত্র থেকে জানা যায়, বরখাস্ত আজম মোল্যা ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার কচুয়াপোতা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। ২০১৩ সালে সে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে যোগ দান করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহ হলেও সে তার বাড়ির ঠিকানা ও নাম পরিচয় দেন ঢাকা সাভারের। সর্বশেষ তিনি ঢাকায় ডিএমপিতে দায়িত্বরত ছিলেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর থেকে সে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, ছিনতাই ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের অপরাধে সাথে জড়িয়ে পড়েন। গত ৭ মাসের অধিক সময় ধরে পুলিশের কনস্টেবল পথ থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইয়াবাসহ আটক পুলিশের অপর কনস্টেবল মুজাহিদ বাগেরহাট জেলার জয়গাছি গ্রামের আব্দুল জব্বার মোল্লার ছেলে। সে ২০১১ সালে পুলিশে যোগদান করার পর থেকে যশোরে অবস্থান করছেন। পুলিশের কনস্টেবল মুজাহিদ দীর্ঘ ৮ বছর যাবত যশোরে কর্মরত আছেন। বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় ও মাদক নিয়ে গ্রহণ ও মাদক ব্যবসা করার অভিযোগ আছে এই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্য সর্বশেষ যশোরের চাঁচড়া ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
এই বিষয়টি নিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আকিকের মুঠোফোনে বারবার সংযোগ পেলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে যশোর কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র মোমিননগর সমবায় সমিতি ভবনের ওপরে যশোর আবাসিক হোটেলের ৪১০ নম্বর কক্ষে পুলিশ সদস্যরা মাদক সেবন করছে। এ সময় যশোর কসবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই খায়রুল আলমকে তাদেরকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়। এসআই খাইরুল সেখানে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে ১০ পিস ইয়াবা, ২ বোতল ফেন্সিডিল ও ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামসহ হাতেনাতে আটক করেন।
আজ দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে নিয়মিত মামলা দিয়ে আদালতে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য যশোর চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আতিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।