মো:শাহিন,(রূপগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে হাশেম ফুড্স লিমিটেডের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় দশ বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ আলামত ও সাক্ষ্য নিয়ে শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ ১৭ জুলাই শনিবার সেজান জুস কারখানার ভষ্মীভূত ভবন পরিদর্শন শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন একথা গুলো বলেন। এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিশেষ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জীবন কান্তি সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
তিনি আরো বলেন, তদন্তের কাজ দ্রæতই সম্পুন্ন করে সর্বজন গ্রহনযোগ্য প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। তবে মানসম্মত তদন্ত প্রতিবেদন করতে একটু সময় দিতেই হবে। এ ঘটনায় ফায়ার ব্রিগেড ও জেলা প্রশাসন পৃথক পৃথক তদন্ত করবে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাসহ বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এদুর্ঘটনা কেন এবং কিভাবে ঘটেছে তার কারণ বের করতে হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আতাউর রহমান। আগুনের ঘটনায় কারো কাছে কোন তথ্য কিংবা ভিডিও ফুটেজ থাকলে সিআইডির কাছে জমা দেয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।
উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টায় সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। আগুনে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসন ও সিআইডি সহ একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে পুলিশ বাদী হত্যা মামলা দায়ের করলে ওই দিনই সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান হাশেমসহ আট জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দুইজন জামিনে রয়েছে।