রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম):
রংপুরের মিঠাপুকুরে চাঞ্চল্যকর ছয় সন্তানের জননী শাহজাদী বেগমের (৫২) রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালত ২৪ ঘন্টার মধ্যে মিঠাপুকুর থানাকে মামলা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন। শাহজাদী বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলার আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলাটি গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেয় বিচারক।
বৃহস্পতিবার (১৮-মে) মিঠাপুকুর আমলি আদালত রংপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, তানভীর আহমেদের আদালতে শাহজাদী বেগমের বড়ভাই মামলাটি গ্রহনের জন্য আবেদন করলে আদালত বাদীর জবানবন্দি এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখে মিঠাপুকুর থানার (ওসিকে), পেনাল কোডের ৩০২/৩৪ ধারায় মামলাটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ দেয়। শুনানির সময় মিঠাপুকুর থানার (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত-১০ মে (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় পূর্বের বিভিন্ন পারিবারিক বিবাদের জের ধরে মিঠাপুকুর উপজেলার আফজালপুর (হিন্দুপাড়ার) শাহজাদী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তার স্বামী,ছেলে এবং পুত্রবধুরা জানান, শাহজাদী বেগম বিষপান করেছেন মর্মে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতের বড়ভাই এবং স্বজনরা স্হানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারেন,ঘটনার দিন তাদের বোনকে প্রচুর মারপিট করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। বিষপানের পূর্বেও শাহজাদী বেগম, বাড়ির পাশে আমবাগানে পালিয়ে যেতে ধরলেও অভিযুক্তরা তাকে মারতে মারতে টেনে হেঁচড়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসেন। তার শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল।
শাহজাদী বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী, সন্তান,পুত্রবধু জড়িত আছে এমন সন্দেহে তার ভাইয়েরা মিঠাপুকুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে শনিবার (১৩-মে) শাহজাদী বেগমের হত্যার বিচার চেয়ে তার ভাই এবং স্বজনরা মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসলে রংপুর জেলা জজকোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান আইনি সহযোগিতা প্রদান করেন এবং মামলাটি তাদের পক্ষে লড়েন।এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান জানান, আশাকরি বাদী ন্যায় বিচার পাবে।