রুবেল হোসাইন (সংগ্রাম):
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় বিভিন্ন সরকারি/বেসরকারি দপ্তর,বাসাবাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কমিউনিটি ক্লিনিক,দোকানপাটে চুরি বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষজনের মধ্যে চুরি আতংক বেড়ে গিয়েছিলো। একের পর এক চুরির ঘটনায় মিঠাপুকুর থানা পুলিশ চোরচক্র এবং চোরাইমাল উদ্ধারে ব্যাপক অভিযানে চালিয়ে অবশেষে সংবদ্ধ চোরচক্র এবং চুরি মালমাল উদ্ধার করে।
মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বরে বিআরডিবি অফিস থেকে রাতের আঁধারে দুটি ব্যাটারি,আইপিএস, একটি মোটরসাইকেলসহ শঠিবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শেখ রাসেল ল্যাব থেকে ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর সংবদ্ধ চোর চক্রকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে পুলিশ। চুরির ঘটনায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন।
উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে ঢাকাসহ চুরি চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমানের নির্দেশে এসআই ইমরান এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পেশাদার চোরচক্রসহ তাদের কাছ থেকে চুরির মালামাল উদ্ধার করে চুরির সাথে জড়িত কয়েকজনকে জেলহাজতে প্রেরন করেন। এতে পূর্বে চুরির সঙ্গে জড়িত অনেকে কোনঠাসা হয়ে এলাকা ছাড়ে।
সংবদ্ধ চোরচক্র এবং তাদের গ্রুপকে নিষ্ক্রিয় করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় মিঠাপুকুরে ইদানিং চুরির সাথে জড়িতদের বিষয়ে ব্যাপক তথ্য পায় পুলিশ। এসআই- ইমরানের সফল অভিজানে চুরি হ্রাস পাওয়ায় রংপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, তাকে নগদ অর্থ এবং বিশেষ পুরস্কারে ঘোষণা করেন।
এসআই ইমরান হোসেন জানান, এই পুরস্কার আমার কাজের স্পৃহা এবং ভবিষ্যতে আরো কাজের গতি বাড়াবে। কাজের মূল্যায়ন করায় আমি পুলিশ সুপার স্যার,এএসপি ডি সার্কেল স্যার, আমাদের (ওসি) স্যারসহ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের চ্যালেন্জ মোকাবিলা করে পুলিশ বাহিনী এবং আমাদের থানার সুনাম অর্জন করতে আমি বদ্ধপরিকর।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, এই চোরচক্র গ্রেফতার করতে আমরা মরিয়া ছিলাম। তাদের গ্রেফতার করতে পেরে অনেকাংশে চুরি বন্ধ হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে। এদের গ্রেফতার করতে পারলে চুরি বন্ধ হবে।