এস এম খলিলুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
৩ আগস্ট ২০২১ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত, খুলনায় ৪টি হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২ আগস্ট সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
খুলনার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩জন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে ১জন, গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ২ জন এবং শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা হলেন- নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার সবুর মোড়ল (৫৫), খালিশপুরের সেলিনা বেগম (৫০) ও চট্টগ্রামের শিতাকুন্ডুর হাবিবুল্লাহ (৭০)। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৭ জন। খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইউনিটের মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ দেবনাথ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নগরীর সদর হাসপাতাল পশ্চিম এলাকার শামসুল হক (৭৬) নামে ১জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র ডাঃ কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে রূপসা রাজাপুর এলাকার শেখ আবুল হোসেন (৫৬), নামে ১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গাজী মেডিকেল হাসপাতালের ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুরা হলেন, নগরীর মুন্সিপাড়ার রহিমা খাতুন (৭২), ও ঝিনাইদহ সদরের মহিলা কলেজ রোডের রহিমা বেগম (৬৪)।
যশোরে গত ২৪ ঘন্টায় যশোর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরোও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যশোর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে ১২৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।গত ২৪ ঘন্টায় যশোরে ৩৩ জন নতুন করে করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছে।
অপরদিকে কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে আরোও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩ আগস্ট মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরোও জানান,বর্তমানে ২২৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮০ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন ৪৬ জন।
জেলায় বর্তমানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৫ (হাজার) ১২৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ (হাজার) ৩১৮ জন। এ পর্যন্ত করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৭৬ জন।