কাপাসিয়া প্রতিনিধি: ঋণ দেবে ব্যাংক। সব ব্যবস্থা করে দেবে ঋণের মধ্যস্থতার জন্য গড়ে ওঠা দালাল চক্র। ব্যাংক নির্বাচন, ঋণ আবেদন, ডকুমেন্ট প্রস্তুতসহ সব ঠিক করে দেবে তারা। এ জন্য ‘কনসালট্যান্সি’ ফি হিসেবে ঋণের ৩ থেকে ৭ শতাংশ নগদ কমিশন দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও করর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে এভাবে গড়ে উঠেছে দালাল চক্র। কাপাসিয়া উপজেলা, টোক ইউনিয়নের নয়ন বাজার গ্রামে অগ্রণী ব্যাংক এর এমন একটি শাখা রয়েছে। এই শাখায় কিছু অসাধু ব্যক্তি জনসাধারণ কে তার প্রাপ্য সেবা না দিয়ে অযথা হয়রানি করে। আর দালাল চক্রের গন্ডি পেরিয়ে লোন নেয়া সম্ভবপর নয়। এই মাফিয়া দালাল চক্রের সীমাহীন হীনমন্য কর্মকান্ড দিন দিন বেড়েই চলছে। সামান্য কিছু টাকার লোনের জন্যও দালাল চক্রকে নির্দিষ্ট হারে টাকা দিতে বাধ্য করা হয় সাধারণ জনগণকে। অলিউল্লাহ (অলি) নামক ব্যক্তি ব্যাংক কে তার নিজস্ব সম্পত্তি বলে মনে করে। সে তার প্রভাব খাটিয়ে দালাল চক্রের নেতৃত্বে থাকে। ব্যাংক কর্মকর্তা না হয়েও সে দীর্ঘদিন যাবত নিজস্ব চেয়ার টেবিলে বসে ব্যাংকের ভেতরেই তার অসৎ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এ ধরণের লোক কোন যুক্তিতে ব্যাংকিং কার্যক্রমের অংশ হলো তার সদুত্তর ব্যাংকটির কর্মকর্তা হানিফ দিতে পারেননি। ব্যাংকে কোনো ধরণের দূর্ঘটনা হলে তার দায়ভার এড়িয়ে যাবার পরিস্থিতি ব্যাংকের কর্মকর্তার নেই। সকল বিষয় জেনে বুঝেও তারা অলিউল্লাহর (অলি) ব্যপারে কোন কিছু করতে অপরাগ। সে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এহেন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে দক্ষ লোকের অভাবে ঋণের ক্ষেত্রে একটি মধ্যস্থতাকারী গ্রুপ তৈরি হয়ে গেছে। বিষয়টি ঘাঁটলে দেখা যাবে, অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের লোকেরা মধ্যস্থতাকারী খুঁজে ঋণ দিচ্ছেন। এটি একেবারে অগ্রহণযোগ্য। এভাবে ব্যাংক চলতে পারে না। এমন হতে থাকলে ব্যাংক খাত নষ্ট হয়ে যাবে। এসব অনৈতিক কর্মকান্ড রোধ করার জন্য টোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।