মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি:
ভোলার এওয়াজপুরের বেলাল দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরী পাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদী ভোলা জেলার সন্ত্রাসবাদী চরফ্যাশন উপজেলার সন্ত্রাসবাদী শশীভূষন থানার সন্ত্রাসবাদী এওয়াজপুর ইউনিয়নের সন্ত্রাসবাদী এক নং ওয়ার্ডের করপা মহাজন বাড়ীর মোস্তফা মহাজনের আরেক ছেলে এইবার দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার সুযোগ ভাগিয়ে নিয়ে ভোলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকতা করার চাকরী পাওয়ার খবর রটেছে। মোস্তফা মহাজন নিজেই স্বীকার করেছে যে, তার ছেলে বেলাল ঐ চাকরীর জন্য দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এতে অধিকাংশ টাকাই দেওয়া (পরিশোধ করা) হয়েছে। বাকী টাকা চলতি বছরের জুলাই মাসের প্রথম দিন পরিশোধ করার চূড়ান্ত কথা-বার্তা হয়েছে। দেশে বৈশ্বিক মহামারীর নভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ অতিমারি জনিত কারনে রাষ্ট্রের শীর্ষ হতে তৃণমূল পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষনা জারি থাকা সত্ত্বেও, তা অমান্য করে – সেই ব্যাপারে তারা ০১/০৭/২০২১ ইং তারিখে ভোর রাতেই মাইক্রোবাস সহযোগে ভোলার ঘুষের টাকা পরিশোধের ও চাকরিতে যোগদানের লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার সাজ সাজ প্রস্তুতি নিয়েছিল। তবে অনেকে বলেছে যে, ঐ বেলাল ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার শাহবাজপুর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক পদে সরকারী চাকরীর জন্য দশ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার জন্য গোপনীয় তৎপরতায় আছে। এত টাকা ঘুষ দিয়ে সরকারী চাকরী পকেটস্থ করার পক্ষে কি স্বার্থ রয়েছে – এমন প্রশ্নের উত্তরে বেলাল জানায় যে, বিবাহের ব্যাপারে সরকারী চাকরী খুব লাভজনক। কেননা লক্ষ্যনীয় পাত্রী/কনে পক্ষ শুধু সরকারী চাকরীজিবী ছেলে দাবী করে। এই জন্য বিবাহ কাজে সফলতার জন্য সরকারী চাকরী প্রাপ্তিজিবী হওয়া তার নিকট লাভজনক ও তাতে যে কোন হবু শ্বশুর বাড়ি হতে মোটা অংকের যৌতুক পাওয়া যাবে। ঐ মোস্তফা মহাজনের এক পুত্র সিরাজ বাংলাদেশ পুলিশের চাকরী পাওয়ার সময় গত বিএনপি-জামায়াতের সোর্স ধরে আট লক্ষ টাকা ঘুষ প্রদান করেছে। সে একই কায়দায় ঘুষ প্রদান করে তার চাকরী সিআইডিতে নিয়েছে। পুলিশে ও সিআইডিতে চাকরী করা কালীন সময়ে চাকরীর ক্ষমতা ও দাপট ব্যবহার করে ভোলায় ও ঢাকায় তার আত্মীয়-স্বজনদের নামে অনেক অবৈধ ও বেআইনী অর্থ-বিত্ত করার সন্ধান পাওয়া গেছে। বর্তমানে ঘুষের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার নিজের ও আত্মীয়-স্বজনদের নামে ঢাকার উত্তরার আব্দুল্যাপুর এলাকায় ছয় তলা দালান বাড়ী করার অর্থ জোগান দিতে দেখা গেছে। ঘুষ, দূর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদী উপার্জন দিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের পৈতৃক বাড়িতেও আলীসান বাড়ী-ঘর তৈরী সহ উহার গ্রামীন অবকাঠামো বাড়িয়েই চলছে। ঘুষের টাকা দিয়ে প্রতিদিনই স্থানীয় নিত্য অচেনা ডিজাইনের স্থানীয় ভয়ানক নামী-দামী ব্যয় বহুল টাইলসের রাজকীয় উন্নয়ন করছে। সেই সিরাজ একই কায়দায় অঢেল টাকা ঘুষ প্রদান করে তার আরেক ভাই জাহাঙ্গীরকেও পুলিশের চাকরী জুগিয়ে দিয়েছিল। এক ভগ্নিপতি মহিউদ্দিনকেও ঢাকায় বিশাল অঙ্কের ক্যাশ ক্যাপিটাল দিয়ে ব্যবসা করার জন্য ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত টাকার সয়লাব ঘটিয়েছে। আরো অনেককে পুলিশের চাকরী পাইয়ে দেওয়ার নামে দেশের ও নিজস্ব জনের ব্যাপক অর্থ লোপাট করেছে। তাকে বহু মামলা-মোকদ্দমার অনৈতিক দেন-দরবার করতে দেখা গেছে। যেখানে-সেখানে বিনা প্রয়োজনে নিজেকে সিআইডি পরিচয় দিয়ে বহু প্রকারের ফায়দা লুটপাট করতে দেখা গেছে। মহাজন শব্দের সংজ্ঞা ও Etymology (ব্যূৎপত্তি/ইটিমোলজি অনুসারে) তাদের (সিরাজ, জাহাঙ্গীর ও বেলালের) পিতার নামের সাথে দাবীকৃত মহাজন শব্দটিও একুরেট নয়। ছবিতে সেই দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসবাদ পরায়ন সিরাজের দূর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসবাদ পরায়ন পিতা মোস্তফা মহাজন।