নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
দিনভর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যেও লকডাউন সফল করতে মণিরামপুরে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসনসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। ভারতে উদ্ভূত করোনাভাইরাস ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টসহ দেশব্যাপি কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার ১জুলাই থেকে আগামী ৭ দিন কঠোর লকডাউন পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এ লগডাউন সফল করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনীসহ পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও গ্রাম পুলিশ বাহিনী মাঠে কাজ করছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ১বছর পূরণ হওয়ার আগে পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকায় গত ৫এপ্রিল সরকার সারাদেশে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। তাতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি দেখা দিলেও বিপরীত চিত্র দেখা যায় ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে। বিধিনিষেধ অবজ্ঞা ও অনিহার কারণে ভারতে উদ্ভূত করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টটি বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। এ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে সরকার পুনরায় ৭ দিনের কঠোর লগডাউন পালনের সিদ্ধান্ত করে। সে মোতাবেক ৭ দিনের কঠোর লগডাউনের প্রথম দিন ১ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার সকাল ৬টা থেকে লগডাউন সফল করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, থানা পুলিশসহ অন্যান্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মণিরামপুর উপজেলা, পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কঠোর অবস্থানসহ জোরদার টহল দিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে উপজেলা সদর ও পৌর শহরের প্রবেশ মুখসহ বিশেষ বিশেষ স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে থানা পুলিশের নেতৃত্বে আনসার বাহিনী ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। নির্দিষ্ট সময় ছাড়া বাজার-ঘাট সব বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরী সেবাগুলো এর আওতার বাইরে রয়েছে। জরুরী পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। কেবল অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন চলাচল করছে। তবে কিছু মানুষকে রাস্তায় দেখা গেলেও সেটা সীমিত।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের আইনশৃংখলা বাহিনী সকাল থেকেই কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তাছাড়া মণিরামপুরে লকডাউন কার্যকর করতে আমরা যথাযথ কার্যকর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছি।