সুমাইয়া আক্তার শিখা স্টাফ রিপোর্টারঃ
মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কুষ্টিয়ায় ২জুলাই শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনেও সর্বাত্নক লকডাউনের ১২তম দিনে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলমের নেতৃত্বে সাধারণ লোকদের ঘরে রাখতে জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল সিনিয়র অফিসার ও ফোর্সের মধ্যে কঠোর ভাবে কড়া নজরদারি করার প্রবনতা লক্ষ্য করা গেছে। জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার কর্তব্যরত সকল সদস্য দিনব্যাপী বৃষ্টির মধ্যেও মাঠে থেকে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ০১ জুলাই ২০২১ তারিখ সকাল ০৬ ঘটিকা হতে “Army in Aid to Civil Power ” এর আওতায় কুষ্টিয়া জেলায় পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব,আনসার, ও ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ অত্যন্ত সুসমন্বের মাধ্যমে দক্ষতার সাথে লকডাউন বাস্তবায়ন করে সর্বসাধারণের ঘরে রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুলাই) কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও পৌর এলাকার চেকপোস্টে কঠোর ভাবে পুলিশি নজরদারী থাকায় আন্তঃজেলা ও আভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় শহরের ব্যাস্ততম সড়ক গুলোতে দেখাগেছে শুনশান নিরবতা। এ সময়ে অকারনে কেউ বাইরে বের হলেও তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে জেলার সীমান্তবর্তী স্থানে চেকপোস্টে ডিউটি পালনের জন্য বাঁশ বেধে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী মহাসড়কের খোকসা থানাধীন শিয়ালডাঙ্গী সীমান্তে চেকপোস্ট, কুষ্টিয়া – চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কের পাটিকাবাড়ী তাহাজ মোড়ে চেকপোস্ট, কুষ্টিয়া -ঝিনাইদহ মহাসড়কের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার সামনে চেকপোস্ট, মিরপুর থানাধীন হালসা ক্যাম্পের অধীনে নান্দিয়া- পাইকপাড়া ফিডার রোডে চেকপোস্ট, মিরপুর থানাধীন মালিহাদ ক্যাম্পের অধীনে কুটিয়াডাঙ্গা হাট বোয়ালিয়া সড়কে চেকপোস্ট, ভেড়ামারা থানাধীন লালনশাহ সেতুর টোল প্লাজায় চেকপোস্ট, কুষ্টিয়া – মেহেরপুর সড়কের খলিশাকুন্ডি ব্রীজ চেকপোস্ট, দৌলতপুর সীমান্তে ধর্মদহ ব্রীজে চেকপোস্টে প্রতিদিন দুই শিফটে প্রতিটি চেকপোস্টে একজন এসআই,একজন এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল সহ মোট পাঁচজন পুলিশ সদস্য চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করছে। একই সাথে কুষ্টিয়া জেলার সকল পৌর এলাকাগুলোর বিভিন্ন চেকপোস্টে পুলিশের কঠোর নজরদারী থাকায় আভ্যন্তরীণ সড়কে কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করেনি। পুলিশ সদস্যদের কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য প্রায় প্রতিটি চেকপোস্টে পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ খাইরুল আলম।
কুষ্টিয়া জেলার সাত থানার সীমান্তবর্তী ও সকল পৌর এলাকার চেকপোস্ট পরিদর্শন কালে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম বলেন, মাস্ক পরার অভ্যেস, করোনা মুক্ত বাংলাদেশ। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজে মাস্ক পরুন, অন্যকে মাস্ক ব্যবহারে উদ্ধুদ্ধ করুন। অকারনে বাইরে ঘোরাফিরা না করে সবাই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে মহামারি করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, লকডাউন চলাকালীন সময়ে জরুরি পরিষেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক ঘোষিত অন্যান্য জরুরি পরিষেবা এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মোঃ খাইরুল আলম বলেন, করোনা কালে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যখন টালমাটাল ঠিক সেই সময়েও আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভাল এবং অর্থনৈতিক সূচকেও আমরা এগিয়ে রয়েছি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হলে তার নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। তাই আসুন আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার দেশ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশ জনতা এক হয়ে কাজ করে আমাদের দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে যে যার অবস্থান থেকে কাজ করে যাই।
কুষ্টিয়ায় লকডাউনের ১২তম দিনেও সরেজমিনে উপস্থিত থেকে কুষ্টিয়ায় লকডাউন প্রতিপালনে জনগণকে বাধ্য করতে মুক্ষ্য ভুমিকা পালন করেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ), মোঃ ফরহাদ হোসেন খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা), মোঃ রাজিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর), মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, ওসি কুষ্টিয়া মডেল থানা, ওসি কুমারখালী, ওসি খোকসা, ওসি ভেড়ামারা,ওসি দৌলতপুর, ওসি ইবি, ওসি মিরপুর, ওসি ডিবি, টি আই (এডমিন) কুষ্টিয়াসহ জেলা পুলিশ কুষ্টিয়ার সকল র্যাংকের অফিসার ও ফোর্স।