এস এম খলিলুর রহমান,যশোর ব্যুরো চীফঃ
১ জুলাই ২০২১ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে নিজ স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে, স্বামী মোঃ জাহিদ হাসান ওরফে মানিকের বিরুদ্ধে। যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের চাউলিয়া গ্রামের চাঁদ মিয়ার ছেলে বলে জানা যায়।
সূত্রমতে মোঃ জাহিদ হাসান ওরফে মানিক, যশোর মনিরামপুরের জোড়া খুনের একমাত্র আসামী। কয়েক দিন আগে আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। গতকাল ১ জুলাই দিবাগত রাত্রে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের ফাঁড়ির পুলিশ। ২ জুলাই শুক্রবার সকালে ঘটনাটি স্থানীয়দের মধ্যে একপর্যায়ে জানাজানি হলে খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই সুপ্রভাত মন্ডল, ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মোঃ জাহিদ হাসান ওরফে মানিক ও নিহত গৃহবধূর শশুর মোঃ চাঁদ মিয়া গা ঢাকা দিয়েছেন। নিহত গৃহবধু মোছাঃ মুর্শিদা বেগম ওরফে মীম কচুয়া ইউনিয়নের মোঃ জাহিদ হোসেনের, কন্যা, এবং কচুয়া ইউনিয়নের স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসলামের, ভাঙ্গনী বলে জানা যায়। এ দিকে এ বিষেয় দু’পক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। মোঃ জাহিদ হাসান ওরফে মানিকের পরিবারের দাবি পারিবারিক কলহের জেরে মুর্শিদা বেগম ওরফে মীম, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে ঘরের আড়ার সাথে গলায় উড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অপর দিকে, মুর্শিদা বেগম মীমের পরিবারের দাবি, জাহিদ হাসান মানিক ও মানিকের বাবা চাঁদ মিয়াসহ পরিবার লোকজন মুর্শিদা বেগম মীমকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও মারপিট করতেন। এসব নির্যাতন ও মারপিটের কথা নিহত গৃহবধূ মুর্শিদা বেগম মীম তার পরিবারের বাবা-মাকে প্রতিনিয়ত জানাতেন। মুর্শিদা বেগম মীম আত্মহত্যা করেনি, ঘাতক স্বামী জাহিদ হাসান মানিক ও তার পরিবারে লোকজন মীমকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই, সুপ্রভাত মন্ডল আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পরবর্তীতে লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা সদর জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নরেন্দ্রপুর ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরো জানান, ২ পক্ষই পরস্পর বিরোধের বক্তব্য দিচ্ছে। ঘাতক স্বামী জাহিদ হাসান মানিক ও নিহত গৃহবধূর শশুর চাঁদ মিয়া, কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা যাবে। তবে, এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন বলে জানিয়েছেন।