মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় জমিজমার আত্মসাৎ ও দূর্বৃত্তায়নের লোভে এক পরিবারের চার মেয়েকে পিটিয়ে পাগল ঘোষনা দিয়েছে সস্ত্রীক রেজেকার মোস্তফা দেওয়ান। বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার নব গঠিত শশীভূষন থানার রেজেকার ও ভূমিদস্যু মোস্তফা বাহিনীর তান্ডবতায় কাঞ্চন মাঝি দিশেহারা ও গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। সন্ত্রাসবাদের অভয়ারণ্য বাংলাদেশের এওয়াজপুর ইউনিয়ন। ইহা ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের তথা সাবেক হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের এওয়াজপুর গ্রামের পশ্চিম এওয়াজপুরের দক্ষিন-পশ্চিম এওয়াজপুর এলাকা। স্থানীয় জাতীয় “ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা)” আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য জনাব আব্দুল্যাহ আল-ইসলাম জ্যাকব এর সুদক্ষ প্রশাসনিক বিন্যাসের ব্যবস্থাপনায় সাবেক হাজারিগঞ্জ ইউনিয়নের ঐ এওয়াজপুর গ্রামটি বর্তমানে এওয়াজপুর ইউনিয়নে পরিনত ও সরকারী গেজেটভূক্ত। নাগরীক জীবন যাপনের জন্য পবিত্র জাতীয় সংবিধানের হরেক ও যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা স্থানীয় বাসিন্দাদের নাগালের আওতায় আনার জন্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরফ্যাশন উপজেলার আওয়ামীলীগের শত শত প্রচেষ্টা, তৎপরতা, উদ্যোগ ও ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও ঐ দক্ষিন-পশ্চিম এওয়াজপুর নামক এক নং ওয়ার্ডের নিজস্ব পক্ষীয় ভূমি বিন্যাসের সু-শাসন প্রত্যাশী আওয়ামীলীগের দূর্দিনের পরম ত্যাগী ও নিয়তির চরম বঞ্চিত নেতা কাঞ্চন মাঝি এখনো দিশেহারা। ঘটনার নেপথ্যে ভূমিদস্যু মোস্তফা দেওয়ান রেজেকার গ্যাং এর সেকেন্ড চীফ ইন-কমান্ড ; তার এক সহোদর নাছির দেওয়ান গ্যাং। বরিশাল বিভাগের বর্তমান শশীভূষন থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের পৈতৃক সূত্রের প্রাপ্ত জমিজমায় পারিবারিক সর্ব কনিষ্ঠ কাঞ্চন মাঝি তার পিতা-মাতা, ভাই-বোন, স্ত্রী-পরিজন ও ছেলে-মেয়ে সন্তানাদি নিয়ে প্রায় পৌনে এক শতাব্দী (প্রায় সোয়া ছয় ডজন বছর) ধরে বসবাস করার খবর পাওয়া গেছে। এই কাঞ্চন মাঝিদের আদি নিবাস ছিল সাবেক ভোলা মহকুমা সদর দৌলতখান এলাকায়। সেই এলাকাগুলো “কখন কি-যে করে বসা রাক্ষুসে প্রেমিকার” মত নদী- মেঘনার গলধঃকরণের কারনে তদানীন্তন ভূমিহীন গোলাম রহমান বেঁচে থাকার ও মানবিক অস্তিত্ব রক্ষার তাগিদে এক চিলতে জমির জন্য সরকার বাহাদুরের নিকট তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মোঃ জেবল হকের নামে দরখাস্ত করে ও সেটেলমেন্ট কেইচ নং- 119F/1981-82 মোতাবেক জেলা – বাখরগঞ্জ, থানা – চরফ্যাশন, তৌজি নং- ৩৪, জেএল নং- ৭৯, মৌজার – পশ্চিম এওয়াজপুর, খতিয়ান নং – ৪৮৩ এর ১৩১৩ নং ও ১৩১৪ নং দাগভূক্ত সমূদয় নাল ভূমি মালিকানার বন্দোবস্ত পায়। গত ১৫/০৫/২০১৪ ইং তারিখে সংশ্লিষ্ট হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন, চরফ্যাশন, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ এর কর্তব্যরত ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে উক্ত বন্দোবস্তের যথাযথ স্বাক্ষর সম্বলিত সত্যতা পাওয়া গেছে। ভূমি অফিসের সরজমিনে উক্ত ভূ-সম্পত্তিতে মৃত: গোলাম রহমান ও জেবল হক সহকারে ভোগ দখলে থাকতেই তার বিশিষ্ট পুত্র কাঞ্চন মাঝি পক্ষগন বাড়ী-ঘর করে, শস্যাদি ফলায়, গাছ-গাছরা লাগায়, প্রতিষ্ঠিত বৃক্ষপতি হয়, গাছ-পালার ফল-ফলাদি স্বীয় মালিকানায় রাখে ও ভোগ-ভক্ষন করে। এলাকার জেনুইন বাসিন্দা হিসেবে স্থায়ী বাসিন্দাদের নিকট চলমান ব্যূৎপত্তিগত সমাজ (Etymological Society) এর পরিচিতি পায়। কাঞ্চন মাঝির নব্বই বছর বয়সী সহোদর সর্বজন শ্রদ্ধেয় মৃত: বড় ভাই জেবল মাঝির বার্ধক্যজনিত সুস্থ প্রাকৃতিক মৃত্যুও ঐ জমির উপর তাদের গড়ে তোলা বাড়ির বসত ভিটিতে ঘটেছিল। চরিত্রহীন অশান্ত রমনীর মত রাক্ষুসে মেঘনা নদীর দ্বারা ভূমির ভয়ার্ত গলধঃকরণের চেয়েও হিংস্র, জঘন্য, বনেদি পাষন্ড, ভূমিদস্যু ও রেজেকার মোস্তফা দেওয়ান গ্যাং ও নাছির দেওয়ান গ্যাং তাদের বর্বর, অসভ্য ও অসামাজিক যৌন উত্তেজনা নিবৃত করার তাগিদে কাঞ্চন মাঝিদের ঐ জমিতে রেজেকার মোস্তফা ভূয়া দেওয়ানের ছোট সহোদর নাসির দেওয়ানের নেতৃত্বে, স্থানীয় অসভ্যতাবাদীদের সহযোগিতা ও সহযোগে গত বিএনপি-জামায়াত জোটের শরীক দলের সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত ক্যাডারদের পেশী শক্তি ব্যবহার করে একটি অবৈধ বসত ঘর তোলে। একই সাথে কাঞ্চন মাঝিদেরকে স্বীয় ভূমি থেকে বিতারনের জন্য ছলাকলার কারসাজির মাধ্যমে হয়রানি করার জন্য দেশের বিজ্ঞ আইন আদালতকে অপথে-বিপথে-কুপথে পরিচালিত করার জন্য পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর নজরাগত করে একটি ফটকা উচ্ছেদ মামলা করে। মোস্তফা দেওয়ান ও নাসির দেওয়ানের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ করলে তারা তাদের যৌন উত্তেজনা প্রশমিত করার কথাটি গোপন করে জয় যুক্তিহীনভাবে বলে যে, উহা তাদের রেকর্ডীয় জমি। প্রকারান্তরে জীবিকা নির্বাহের মানবিক তাগিদে ব্যস্ত থাকা কাঞ্চন মাঝিদের উপর রেজেকার ভূমিদস্যু মোস্তফা দেওয়ান গ্যাং বাহিনীর দ্বারা বর্তিত- মামলা হয়রানি, হামলা হয়রানি, হুমকি হয়রানি, ধামকি হয়রানি, ষড়যন্ত্র হয়রানি ও বিএনপি-জামায়াত পন্থীয় রাজনৈতিক হয়রানি মোকাবেলা করে মামলা চালিয়ে যাওয়াই দুষ্কর ও ঝুঁকিপূর্ণ। পাকিস্তান আমলের পূর্ব বাংলায় পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর দ্বারা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছার-খার করার ন্যায় ইতিপূর্বে ঐ দেওয়ান বাহিনী তাদের বাড়ীর উপরের রাজুর বাপের জমি-জমা ও পাশ্ববর্তী ইব্রাহিম হাং ও কালু হাং এর জমিজমা-ঘরবাড়ী আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে তাদের ঘরবাড়ী-ভিটামাটি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেওয়ার মত রাতের আঁধারে কাঞ্চন মাঝিদের ঘর-বাড়ীও এক দফা জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই ঘর-বাড়ি পোড়ার জন্য অগ্নিসংযোগকারীদের উপর সন্দেহের তীরও দেওয়ান বাহিনীর দিকেই ঝুলে আছে। কেননা আগুনে জ্বলে-পুড়ে যাওয়া কোন কোন অগ্নিভস্মে ঐ দেওয়ান বাড়ীর লোকেরা মিষ্টি আলু ও নারিকেল পুড়িয়ে খেয়ে উল্লাস করার খবর মিলেছে। এমনকি ঊনসত্তরের গনহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের মত রেজেকার ও ভূমিদস্যু মোস্তফা দেওয়ান ঐ রাজুর বাপের চার যুবতি মেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পাগল ঘোষনা দেওয়ার খবরও সংগ্রহ করা গেছে। ইতিমধ্যে এই জমি-জমা বিরোধের বিষয়টি বহু ঘুরাঘুরি ও হাঁটাহাঁটি করে চরফ্যাশন উপজেলার চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন আখন এর দপ্তরে গড়িয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। উক্ত উপজেলা চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউ:পি: মেম্বার নুরুল আমিন কালু হাওলাদার এর নিকট সরজমিনের প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সেই উদ্দেশ্যে গত ০১/০৭/২০২১ ইং তারিখে স্থানীয় এওয়াজপুরের সার্ভেয়ার সিরাজ দেওয়ান ও রসুলপুরের সার্ভেয়ার সামসু মেম্বারের মাপজোপ করার কথা রয়েছে। সরজমিনের ঘটনার স্থানে এক নং ওয়ার্ডের মেম্বার নুরুল আমিন কালু হাওলাদার, তিন নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহে আলম হাওলাদার, ছয় নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার সামছল আলম হক সাহেব ও এওয়াজপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগোপোযোগী নেতা রেজাউল করিম এর উপস্থিত থাকার আলোচনা পাওয়া গেছে। ঐ এলাকায় ইতিপূর্বেও বিভিন্ন জনের জমিজমা সংক্রান্ত একাধিক শালিস বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু কেহই কাঞ্চন মাঝিদেরকে পরিপূর্ন নিরাপদ বসতির স্থায়ী শান্তি স্থাপন করতে পারে নাই। তাই বর্তমানে সর্বমহল আশা করে যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভূক্তভোগী কাঞ্চন মাঝিদেরকে রেজেকার ভূমিদস্যু মোস্তফা-নাছির দেওয়ান গ্যাংদের পাপাচার, অত্যাচার, নির্যাতন, দূরাচার, লোকাচার, খুনাচার, উৎখাতাচার ও ব্যবিচারের কবল থেকে মুক্ত করতে পারবে। ছবিতে সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করা কাঞ্চন মাঝিকে দেখা যায়।