সেলিম চৌধুরী বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিকলীগ মহামারী করোনা ভাইরাস গনসচেতনতার লক্ষ্যে এক জরুরি সভা ৩ জুলাই শনিবার সন্ধায় পটিয়া বাসস্ট্যান্ডে অস্থায়ী কার্য়লয়ে পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফি’র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মাজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও পটিয়া পৌরসভা জাতীয় শ্রমিকলীগ সিনিয়র সহসভাপতি কলিমুর রহমান। বক্তব্য রাখেন শ্রমিক নেতা বাসেক, সুমন চৌধুরী, রিয়াদ,রুবেল, নয়ন সহ আরো অনেকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় সংসদের হুইপ আলহাজ্ব শামসুল হক চৌধুরী এমপি নির্দেশে পটিয়ার মানুষকে গনসচেতনতার লক্ষ্যে এ সভায় বক্তারা বলেন,দিন দিন দেশে ক্রমাগতহারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই মহামারির ভয়াল রূপ আমাদের সকলের কমবেশি জানা।দেশে গত দুই দিনে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে আগের সকল রেকর্ড পার হতে দেখা গেছে করোনায়। মহামারি করোনার শুরু থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এর পরের দিন অর্থাৎ ২৮ জুন আবার নতুন করে ৮৩৬৪ জন আক্রান্তের পাশাপাশি ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দিনের আক্রান্তের সংখ্যা আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। যদিও এর আগে কয়েক দফা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু জনগণের মধ্যে তেমন সচেতনতা চোখে পড়ে না। আসলে লকডাউন, শাটডাউন নয় সচেতনতাই করোনা থেকে বেঁচে থাকার উপায়।আগের লকডাউনগুলোকে যেমন আমরা গুরুত্বের চোখে দেখি নি, এবারের লকডাউনকেও তোয়াক্কা না করেই যে যার যার মত করে চলছি। বরং মুখে মাস্কটা পর্যন্ত না লাগিয়ে লকডাউন, শাটডাউন এবং করোনাকে তামাশার বিষয় মনে করছি। তাইতো অনান্য দেশগুলোতে প্রথম পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হলেও তারা যেভাবে অল্প সময়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে, আমাদের দেশে প্রথম দিকে তেমন আক্রান্ত না হলেও প্রায় দেড় বছর ধরে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না। কারণ, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন এবং সতর্কতার সাথে পথ চলা ছাড়া করোনার এই ভয়াল তরী পাড়ি দেয়া কস্মিনকালেও সম্ভব নয়। এ পর্যন্ত (২৮ জুন) দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ২৭৬ জন। অথচ মৃত্যু দূরের কথা আমরা কেউই চাই না নিজে অথবা অপর কেউ আক্রান্ত হই। কিন্তু আমাদের অসেচতনতা বার বার আমাদের কঠিন ইতিহাসের সাক্ষী বানিয়ে যাচ্ছে। তাই আসুন, সচেতন ও সতর্ক হই। নিজের জন্য পরিবার দশ ও দেশের কল্যাণে সুস্থ থাকুন ঘরে থাকুন সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন ঘরে থাকুন।