নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধি:
নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পর মণিরামপুরে রোববার সকাল ৯টার দিকে মুন্সিখানপুর গ্রামের একটি লিচু গাছ থেকে শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। নিহত শরিফুল ইসলাম উপজেলার লাউড়ী গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। পরিবারের দাবি শরিফুলকে অপহরনের পর হয়ত হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
জানাযায়, শরিফুল ইসলামের বয়স যখন দুই থেকে তিন বছর। তখন তার বাবা এবং মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। এর পর শিশু সন্তানকে নিয়ে মা পারভীনা খাতুন উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের সাতনল গ্রামে পিতার বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই থেকে শরিফুল মায়ের সাথে নানার বাড়িতে মানুষ হয়। শরিফুল পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। তিনি মাত্র তিনমাসে আগে বিয়ে করেন। মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে তার সংসার ভালই চলছিল। শরিফুলের মা পরভীনা খাতুন এবং মামা সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে শরিফুল বাড়ি থেকে সাতনল বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেনি। রোববার সকাল ১০ টার দিকে পার্শ্ববর্তি মুন্সিখানপুর গ্রামের মাঠের মধ্যে একটি লিচু গাছে শরিফুলের ঝুলন্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধারে পর ময়না তদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। নিহতের মামা নজরুল ইসলামসহ পরিবারবর্গের ধারনা দূর্বৃত্তরা হয়ত শরিফুলকে অপহরনের পর শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। তবে তারা জানান, এলাকায় শরিফুলের সাথে কারোর কোন শত্রæতা ছিলনা। তদন্তকারী অফিসার এসআই প্রসেনজিৎ কুমার জানান, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে শরিফুল হয়ত কোন কারনে আত্মহত্যা করেছে। ওসি (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের মা পারভীনা খাতুন বাদি হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাবার পর পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।