

এফ এম বুরহানঃ
খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার নৈহাটী ইউনিয়নের রামনগর, তালিমপুর, নিকলাপুর গ্রামের পানি নিষ্কাসনের একমাত্র ড্রেনে বন্ধ করে গড়ে উঠেছে বসত বাড়ি ও নানা স্থাপনা। ফলে পানি নিষ্কাসনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই তলিয়ে যায় বাগমারা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, নৈহাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসসহ এসকল অঞ্চলের বসবাসকারী কয়েকশত পরিবারে বসত করার ঘর, গরুর গোয়াল, মুরগির ফার্ম। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি জনজীবনে দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তালিমপুর নিবাসী ওতার উদ্দিন শেখের পুত্র আব্দুস সালাম শেখ বলেন, রামনগর হাফেজ ফজলুল করীমের বাড়ি হইতে ও মোল্লা বাড়ির সামনের পানি বাগমারা স্কুলের পাশদিয়ে এবং তালিমপুর গ্রামের পানি কদমতলা হয়ে রূপসা-বাগেরহাট সড়কের তলদিয়ে কলেজ রোডের মাথায় অবস্থিত কালভার্ট দিয়ে জয়পুর বিলে বের হয়ে যেত। কিন্তু এই পানি চলাচলের ড্রেনে অনেকেই এখন প্লট আকারে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গা লিজ এনে বসত বাড়ি ও স্থাপনা গড়ে তুলেছে তাই ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানি বের হতে পারছে না। সেজন্য সামন্য বৃষ্টি হলেই পানিতে নিমজ্জিত হতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষের। এ বিষয় রূপসা- বাগেরহাট বাস মিনি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্বের ড্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের বৃষ্টির পানি বের হতে পারছে না বিধায় আমাদের ঘর দুয়ার তলিয়ে যাচ্ছে। আমারা খুব মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই যারা এই ড্রেন বন্ধ করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি আমাদের মাননীয় এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী মহাদয়ের কাছে আকুল আবেদন করছি তিনি যেনো আমাদের এখানে পানি নিষ্কাসনের জন্য একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করেদেন।।