মোঃ তরিকুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের রুই-ফলোশিয়া গ্রামের এক অসহায় নারীর গল্প। নামটি তার লক্ষী রানী হলেও কপালে দুঃখ ছাড়া সুখের দেখা মেলেনি কখনো। জন্ম থেকে টুইটি পা পঙ্গু, বিয়ে হয়েছিলো কিন্তু পঙ্গুত্বের কারনের সংসার করার সৌভাগ্য হয়ে ওঠেনি বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে লক্ষী রানীর স্বামী অমল সরকার ফেলে রেখে চলে যায় আর কোন দিন খোজ খবর নিতে আসেনাই। লক্ষী রানীর ঘরের জ্বলেনা বাতি কারন অবহেলায় দূরে পরে আছে তেল বিহীন প্রদীপ, রাত্রে ঘুমানোর জন্য রয়েছে একটি মাত্র ছিড়ে যাওয়া খেজুর পাতার পাটি। রান্নার চুলা আজ জরাজীর্ণ পানির পাত্রটিও ফুটো সঙ্গী বলতে আছে একটি মাত্র বিড়াল সেটাও দড়ী দিয়ে বাঁধা😥 কারন অন্যের বাড়ীতে গিয়ে যেন কিছু চুরি করে না খায়। দিনে একটি বার খেয়ে কোন রকম বেচে আছে লক্ষী রানী। ২৫ বছর আগে ফেলে রেখে গেছে লক্ষীরানীর স্বামী তার পর থেকে কোন মত দেখা শোনা করে আসছে লক্ষন বিশ্বাস নামের পাশের বাড়ির একব্যাক্তি। এব্যাপারে জানতে চাইলে বাবুখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাজ্জাদ আলী বলেন এটা আমার দেখার বিষয় না, আমার কাছে আবেদন করলে আমি একটা ব্যাবস্থা করে দিবো।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রামানন্দ পালের সাথে কথা বললে তিনি লক্ষী রানীর বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে।