সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলী-তালতলীর রাস্তা নয় যেন পুকুর দু’দপ্তরের কর্তৃপক্ষদের কোনো ভূমিকা না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।কর্তৃপক্ষ নিরবে থাকায় দুই উপজেলার প্রায় দুই লক্ষ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দুই বছর ধরে কর্তৃপক্ষদের টনক লড়ে নি।সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান সচেতন মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বিভিন্ন জায়গার কার্পেটিং উঠে গেছে। মানিকঝুড়ি স্থান থেকে কচুপাত্রা বাজারের ব্রিজ পর্যন্ত বড় বড় গর্ত ও মিনি পুকুরে পরিনত হয়েছে।রাস্তাটির বেহাল
দশার কারণে ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।রাস্তাটির জন্যবোরাক উল্টে যায়।অনেক সময় মালবাহী ট্রাক রাস্তায় ডেবে আটকে যায়।সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কোনো শেষ নেই।আড়পাঙ্গাশিয়ার ব্রিজের অবস্থা খুবই খারাপ।ব্রিজের সংস্কার করে আবার ডেবে যায়
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে তালতলী উপজেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম তালতলী সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেন আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।৩৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই সড়কটির আড়পাঙ্গাশিয়া নদীর উপর ১৯৮৫ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে।এরপর মানিকঝুড়ি থেকে কচুপাত্রা পর্যন্ত ১২কিলোমিটার সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ নির্মাণ করে।২০০৩ সালে কচুপাত্রা থেকে সোনাকাটা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার সড়ক বাধার উদ্যোগ নেওয়া হয়।২০০৮ সালে সড়কটি পাকাকরণ করা হয়।কচুপাত্রা সড়কটি ২০১৯ সালে সংস্কার করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।এরপর থেকে কোনো কার্যকর হয় নি।এখন দু’দপ্তরে ঠেলাঠেলিতে ভুগছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন,দু’দপ্তরের ঠেলাঠেলিতে সড়কটির করুণ অবস্থা।সড়কের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে ফলে সংস্কারের এক বছর না যেতেই রাস্তাটির চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে।আমতলী ও তালতলী উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ, ঢাকা ও তালতলীগামী পরিবহন বাস, তালতলী আইসোটেক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাভার ভ্যান, ট্রাক, প্রাইভেট কার, মাহেন্দ্র, ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা ও মোটর সাইকেল সহ সহস্রাধীক গাড়ী চলাচল করে।সবাই দুর্ভোগ পোহাতে হয়।আড় পাঙ্গাশিয়া ব্রিজ ও সড়কটির বেহাল দশা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ প্রকাশিত হলে ও কর্তৃপক্ষদের কোনো টনক লড়ে নি।সংস্কারের দাবি জানান।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো.আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সড়ক সংস্কারের জন্য বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে প্রকল্প জমা দিয়েছি।
তালতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মো.আহম্মেদ আলী বলেন, রাস্তার কাজের জন্য আমরা স্টিমিট তৈরি করে পাঠিয়েছি। কাজের অনুমোদন পেলেই সাথে সাথে কাজ শুরু হবে।
বরগুনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফোরকান খাঁন বলেন, সড়কের প্রাক্কলন তৈরি করে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।