মোঃশাহিন,রূপগঞ্জ,প্রতিনিধিঃ
রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে আজ ১২ জুলাই সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোট মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে। সেজান জুস কারখানার আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধন পূর্বক সভায় বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক বজরুল রশীদ ফিরোজ, ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ আল কাফি রতন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বাম জোট ও বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মন্টু ঘোষ, গণসংহতি আন্দোলনের তরিকুল সুজন, বাসদ নেতা সেলিম মাসুদ, ওয়াকার্স পার্টির স্থানীয় নেতা সোহেল, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের সবুজ, বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা আহসান হাবিব বুলবুল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, মালিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলোর অবহেলায় আর কত শ্রমিকদের জীবন দিতে হবে? রানাপ্লাজা, তাজরীণ, টাম্পাকোর ঘটনায় দোষীদের যদি উপযুক্ত বিচার হতো তাহলে সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন শ্রমিকের জীবন দিতে হতো না। মালিক সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিন্তু উপযুক্ত বিচার হবে কিনা তা আমরা জানি না। এখানে কারখানাটির বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিলনা। শিশু শ্রমিক নিয়োজিত ছিল। আগুন লাগার পর তারা কলপসিবল গেট বন্ধ করে রেখেছিল। যার কারণে শ্রমিকরা বের হতে পারেনি। আইএলও কনভেশন ১২১ অনুযায়ী নিহত শ্রমিকদের সারাজীবন আয়ের সমান অর্থাৎ ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া, ঈদ বোনাস ও চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। এঘটানয় জড়িত সকল অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অন্যথায় শ্রমমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান সহ কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।