মো: খোরশেদ আলম, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের কনকাপৈত ইউনিয়নের করপাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের অজুহাতে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় পঞ্চাশ বছরের পুরনো একটি পারিবারিক কবরস্থানের যাতায়াত পথ। এতে আগামীদিনে ওই পরিবার বা একই গ্রামের কেউ মৃত্যুবরণ করলে কবরস্থানটিতে লাশ দাফনের জন্য কিভাবে বা কোন পথে নিয়ে যাবে তা নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় আছে তারা।
জানা গেছে, স্থানীয়দের মধ্যে যাদের কবরস্থান নেই তাদের অনেককেই এখানে দাফন করা হয়েছে। এখনও কবরস্থানটি সবার জন্য উন্মুক্ত। স্থানীয়দের অনুরোধে উল্লেখিত কবরস্থানটিতে যাতায়াতের জন্য বিদ্যালয় আঙ্গিনার পশ্চিম অংশে একটি পকেট গেইট রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পকেট গেইটটি বন্ধ করে দেয়াল নির্মাণ করে নেয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এজন্য সবাই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির সকলকে দুষছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই বলেন, দীর্ঘদিনের একটি পারিবারিক কবরস্থানে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। যে পরিবারটি বিদ্যালয়ের জমিনদাতা তাদেরই পারিবারিক কবরস্থানের পথ বন্ধ করে দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ আসলে কি করতে চাইছে? এই প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে। কবরস্থানের সঙ্গে ধর্মীয় এবং আবেগের বিষয় জড়িত। সেখানে কেন এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত? স্থানীয়রা এখন উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিকে চেয়ে আছেন। দায়িত্বশীলরা কি করেন তা দেখার অপেক্ষায় গ্রামবাসী।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো: মিজানুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নির্দেশনা অনুযায়ী এলজিইডি অনুমোদিত ডিজাইনের আলোকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। সাধারণত ডিজাইনগুলো বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনের নিরীখেই তৈরী করা হয়। এলজিইডি’র ডিজাইন করার পূর্বে গ্রামবাসী এ ব্যাপারে আবেদন করলে হয়তো ডিজাইনটা তখন সেভাবেই তৈরী করা হতো’।