সেলিম চৌধুরী নিজস্ব সংবাদদাতাঃ–
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ছুটেছিলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাঙামাটি জেলার সভাপতি বিশিষ্ট ব্যাবসায়ি সমাজ সেবক বিকাশ দাশ গুপ্ত তিনি এখন কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিকাশ গুপ্ত রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল পদে নির্বাচন করে অল্প ভোটে হেরে যান। তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে করোনা সচেতন মোকাবেলার জন্যে রাউজান, পটিয়া, হাটহাজারী, রাঙামাটি, বোয়ালখালী, কর্ণফুলী, চট্টগ্রাম নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মাস্ক,সাবানসহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করে আলোচনায় উটে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পটিয়া- কর্ণফুলী মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটির সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। সুএে জানাযায়,সঙ্কটময় সময়ে বিভিন্ন উপজেলার আনাচে কানাচে রাতদিন জনগণের পাশে থেকে খাদ্য ও সচেতনতা তৈরির কাজ করে ছিলেন। এছাডাও জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছেন বাজারগুলোতে। ক্লান্তিহীন এ মানুষটি আজ বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবদান এসব কাজে জনগণ থেকে আখ্যা পাচ্ছেন মানবিক মানুষ হিসাবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপুল সংখ্যাক দিনমজুর, বস্তির দুস্থ, পত্রিকার হকারসহ কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান করছিলেন। যা এখনো মানুষ স্বরণ করে। বিকাশ দাশ গুপ্ত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে এখনো দলীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন বলে সুএে জানাযায় । তার দেওয়া খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, সাবান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। রাতের আঁধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজে গাড়ি চালিয়ে কখনো নিজে, কখনো স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন। তার কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে পটিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়, মসজিদ, মন্দিরে রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ জনগণ। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় নেতা বিকাশ দাশ গুপ্ত জনগণের মাঝে ফিরে আসুক এটি সকলের প্রত্যাশা। এব্যপারে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় নেতা বিকাশ দাশ গুপ্ত মোবাইল ফোনে এ প্রতিবেদকে জানান, আমিই হব বেওয়ারিশ লাশের অভিভাবক। আমি বেওয়ারিশ লাশের সৎকার করব। দরিদ্র বা ভাসমান কোনো মানুষ মারা গেলে একজন মানুষ হিসেবে তাকে দাফন কাফন করা হচ্ছে সামাজিক দায়বদ্ধতা। যে ব্যক্তিটি মারা গেছে সেও তো মানুষ। কোনো বাবা মায়ের সন্তান। তাই কোনো বেওয়ারিশ লাশ মারা গেলে আমাকে জানাবেন। আমি অসুস্থ হলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে তিনি মানবিক সহযোগিতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নগর জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা জানান,মানবিক সহায়তা কার্যক্রম প্রশংসার যোগ্য বিকাশ দাশ গুপ্ত তিনি বলেন,সে একজন মানবিক নেতা, যিনি দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে ঘরে ঘরে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিয়েছিলেন।।