আ: হামিদ, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
মধুপুরে ব্রীজের সংযোগ সড়ক মাটি দিয়ে উন্নয়ন কাজে কলা গাছের ব্যবহার করা হয়েছে। গর্হিত এমন কাজ সংগঠিত হয়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নে।
জানা যায়, উপজেলা পরিষদের ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাস্তবায়নের জন্য ধরাটি-রাবার বাগান রাস্তার ময়নালের মোড় থেকে ডোবার বাইদের ময়নালের ব্রীজ পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প নির্বাচন করা হয়। দুই লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প ২০২০-২১ অর্থ বছরে বাস্তবায়নের কথা ছিলো। কিন্তু ওই কাজ না করেই পুরো টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিষয়টি জানাজানি হলে গত ১৩ জুলাই ধরাটি রাবার বাগান রাস্তার ময়নালের মোড় থেকে ব্রীজ পর্যন্ত সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। ১৪ জুলাই বুধবার দুপুরে ওই কাজ সমাপ্ত করা হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুসারে কাজের বিনিময়ে টাকা কর্মসূচীর আওতায় ২শ টাকা মজুরির ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিক দিয়ে ওই কাজ বাস্তবায়ন করার কথা। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি মাটি কাটার মেশিন (ভেকু মেশিন) ব্যবহার করে দেড় দিনে কাজ সমাপ্ত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা তারা মিয়া ও মজনু বলেন, রাস্তা ঠিক করবার নিগা আমাগার খেত থিকা মাটি কাইটা নিবার কইছি। তারা কিছু মাটি কাইটা নিছে। কিন্তু মাটি ফালানির আগে তলদিয়া (নিচ দিয়ে) দিছে খালি কলার মোথা। বৃষ্টি অইলে এই কলাগাছ পইচা ডাব অবো। আমাগোর কপালে দুঃখ নাইমা আবো।
ধরাটি গ্রামের রেজাউল ইসলাম, চান মিয়া, মজিবর রহমানসহ অনেকেই রাস্তার সংস্কার কাজে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক সরকার বলেন, আমি প্রকল্পের ব্যাপারে তেমন কিছু জানিনা। তবে শুনেছি, প্রকল্পে জড়িতরা সড়ক সংস্কারে মাটির নিচে কলাগাছ ব্যবহার করেছে। কাজটা ঠিক করেনি।
প্রকল্প কমিটির সভাপতি কুড়াগাছা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য অর্চনা নকরেক বলেন, ব্রীজটা রাস্তা থেকে অনেক উঁচু। রাবার বাগানের লোকদের চলাচলের সুবিধার্থে কয়েকটি কলা গাছ দেওয়া হয়েছে। যে ভাবে বলা হচ্ছে কলাগাছ নিচে ফেলে উপরে মাটি দেওয়া হয়েছে। তা ঠিক না। স্থানীয় নেতা মো. মোস্তাকিনসহ আমরা উপস্থিত থাইকা সুন্দরভাবে কাজ করেছি।
মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু অসুস্থ্য থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ নাসির বলেন, রাস্তা সংস্কারে কলাগাছ ব্যবহার করা হয়েছে এমন অভিযোগ আজকেই পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।