উজ্জ্বল রায় (জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে :
নড়াইলে ১৪৪ ও ১৮৮ ধারা লংঘন করে পাকা ঘর নির্মানে বাধা দেওয়ায় মোঃ ফরিদ
মোল্যাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দূূর্বৃত্তরা। সে মিঠাপুর গ্রামের
আব্দুুর সালাম মোল্যার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের
মিঠাপুর গ্রামে।
ফরিদ মোল্যার স্ত্রী মোসা: রাফেদা খানম জানান, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার
সময় একই গ্রামের মন্নু মোল্যার ছেলে রিপন মোল্যা (২৮) সাব্বির মোল্যা
(১৮), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে মন্নু মোল্যা (৫৫), নাজির মোল্যর ছেলে
রনি মোল্যা (২৫), মৃত: আত্তাব মোল্যার ছেলে নাজির মোল্যা (৫০) ও মজনু
মোল্যা (৪৮), মজনু মোল্যার ছেলে আজিজুল মোল্যা সহ আরো ৪/৫ জন আমার স্বামী
মো: ফরিদ মোল্যা ও আকরাম মোল্যাকে রামদা, লোহার রড, হাতুড়ী ও বাশের লাঠি
দিয়ে মিঠাপুর ব্রীজের মাঝখানে চারিদিক দিয়ে ঘিরে ফেলে। তখন আমার স্বামী
ফরিদ মোল্যা ও আকরাম মোল্যা কিছু বুঝে উঠার আগেই মন্নু মোল্যার হুকুমে
রিপন সহ অন্যান্যরা আমার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত করে ফেলে
রেখে যায়। পরে আমরা নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করাই।
মোসা: রাফেদা খানম আরো জানান মিঠাপুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে অবস্থিত
খেলার মাঠের উত্তর পশ্বিম প্রান্তে আমাদের স্বত্ত্ব দখলীয় একটি দোকান ঘর
মো: আকরাম মোল্যার বাড়ীর জমিকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিষয়ে
মো: আকরাম মোল্যা রিপন মোল্যা, মন্নু মোল্যা ও সাব্বির মোল্যাগণকে
দ্বিতীয় পক্ষ করো বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌ. কা.
বিধির ১৪৪ ধারার অধিন এম.পি ১৭১/২০, ধারা ১৪৪ মামলা দাখিল করলে বিজ্ঞ
আদালতের নির্দেশক্রমে উক্ত দোকান ঘর ও বাড়ীর জমির উপর স্থিতিবস্থার আদেশ
প্রদান করিলেও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে তারা উক্ত জমিতে পাকা
ঘরবাড়ী নির্মান সহ প্রথম পক্ষের দখলীয় বাড়ীর প্রবেশ পথের সামনে ও দোকান
ঘরের সাটার জড়িয়ে পিলার পুতো রাখে যার কোন আইনগত অধিকার তাদের নাই।
আকরাম মোল্যার জানান,স্থানীয় নলদী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জনাব এনামুল
সাহেবকে বার বার ঘটনার বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও তিনি অদৃশ্য কারণে
তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি। বিধায় আমি অত:পর বিজ্ঞ আদালতে
দন্ড বিধি আইনের ১৮৮ ধারার অধীন ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রার্থনা করলে
বিজ্ঞ আদালত উক্ত ধারার অধিনে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য লোহাগড়া থানার ওসিকে
নির্দেষ প্রদান করলে থানা কর্তৃপক্ষ জনাব এনামুল, ইনচার্জ, নলদী
ক্যাম্পকে দায়িত্ব প্রদান করেন। জনাব এনামুল দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়া গতকাল,
১৫/০৭/২০২১ ইং তারিখ সন্ধায় ঘটনাস্থলে যেয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা
বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করামাত্রই তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আক্রমন করে।
এ বিষয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজয় রায় বলেন,রুগিকে
প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাত ১২টার দিকে রুগির জ্ঞান ফিরেছে। কয়েক
স্থানে কোপের ও আঘাতের চিহ্র পাওয়া গেছে। কিছু পরিক্ষা করতে বলা হয়েছে।
রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, বিষটি
শুনেছি তদন্ত করে পরবর্তি ব্যবস্থা গ্রহন করবো।