মোঃমহিউদ্দীন খাঁন।মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মাসকান্দি গ্রামের প্রণব ভট্টাচার্য্য (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে মারা গেছেন। দিব্যান লোকান স গচ্ছতু।আজই আমাদের “শ্মশানবন্ধু সংঘ” মৌলভীবাজার তাঁর আত্মীয় স্বজনের ডাকে সারা দিয়ে মৃতদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
টিমের সদস্যদের সৎকাজে পাঠিয়ে আমরা শান্তিতে থাকতে পারি না। আমার বন্ধু ও সংগঠনের সমন্বয়কারী রুদ্রজিত ঘোষ মিশুকে সাথে নিয়ে চলে যাই মাসকান্দি গ্রামে। চিতায় তখন আগুন দাউদাউ করে জ্বলছে, সন্ধ্যা নেমে আসছে। এই কুলিন ব্রাহ্মণের অসময়ের মৃত্যু খুবই কষ্টদায়ক। দরিদ্র ব্রাহ্মণ, পূজা অর্চনা করেই পরিবারের জীবিকা চালাতেন। ভগবান, প্রণব বাবুকে চিরদিনের জন্য নিয়ে গিয়ে শোক সাগরে ভাসিয়ে গেছেন তার কিশোরী মেয়ে প্রাপ্তি ভট্টাচার্য্য ও স্ত্রী অর্পনা ভট্টাচার্যকে। বড় মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতে সন্তান সম্ভাবনাময় রয়েছেন। অসহায়ের মতো আমরা বাড়িতে গেলাম। টিনের বেড়া ও টিনের ছাউনির ঘরের দড়জায় অবুঝ মেয়ে ও তার স্ত্রী পাথর হয়ে মাটিতে বসে আছেন। শান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা ছিল না। কী দিয়ে আমি শান্তনার বাণী শুনিয়েছি জানি না। আপনজনের চির বিদায়ে মা ও মেয়ে পাগলের মতো কান্নাকাটি করে নিস্তেজ হয়ে আমাদের দিকে ফেল ফেল করে তাকিয়ে ছিলেন অনেক্ষণ। আমি মনে মনে বলেছিলাম হায় ভগবান,এ কী হলো!! এ সংসারে তারা আজ যে বড়ই অসহায়। তুমি রক্ষা করো।
আমাদের মৌলভীবাজারের “শ্মশানবন্ধু সংঘ” এই ব্রাহ্মণের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। টিম প্রধান কালীপদ শীল,সদস্য,শ্রী পলাশ চন্দ্র শীল, শ্রী সুমন চন্দ্র, শ্রী সুধীপ ভট্টাচার্য্য।
মৌলভীবাজারে “শ্মশানবন্ধু সংঘ” সকল অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সনাতন (হিন্দু) ধর্মীয় বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক ও সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আমাদের কাজে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করায় বিশেষভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি উপদেষ্টা মন্ডলী ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার শ্রী বিনেন্দু ভৌমিক।