মো: খোরশেদ আলম বিশেষ সংবাদদাতাঃ
শেরপুরের শ্রীবরদীর রাণীশিমুল গ্রামে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে বসতবাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনায় স্থানীয় মো: জহুরুল হকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম নামে এক বৃদ্ধাসহ কমপক্ষে আরো তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহত অন্যরা হলো: মো: জহুরুল হকের ছেলে মো: মোস্তাক ও মো: ফটিক মিয়া এবং ফটিক মিয়ার স্ত্রী মোসা: লাভলী বেগম। এঘটনায় জহুরুল হক বাদী হয়ে একই এলাকার নুরুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৬০), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আশিক মিয়া (২২) ও লিংকন মিয়া (২৬), মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো: মুক্তা মিয়া (৫৫) এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো: বিদ্যুৎ (২৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরো চার-পাঁচজনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) গভীর রাতে আসামীরা পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বেআইনী জনতায় সংঘবদ্ধ হয়ে জহুরুল হকের বাড়ীতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর করে। হামলার কাজে বাধা দিতে গেলে জহুরুল হকের স্ত্রী মোর্শেদা বেগম, ছেলে মোস্তাক, ফটিক ও পুত্রবধূ লাভলী গুরুতর আহত হয়। সন্ত্রাসীরা মোর্শেদা বেগমের মাথায় ধারালো রাম দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে এবং চাপাতি ও লোহার শাবল দিয়ে এলোপাতাড়ি বাড়ি দিয়ে জহুরুল হকের ছেলে মোস্তাক, ফটিক মিয়া ও পুত্রবধূ লাভলী বেগমকে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা জহুরুল হক ও তার ছেলে ফটিকের ঘরে প্রবেশ করে ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে ট্রাংকের ভেতরে থাকা নগদ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরে তাদের শোর-চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে সদও হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আহতদের মধ্যে মোর্শেদা বেগমের অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।