আবদুল্লাহ আল মামুন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পটুয়াখালীর পৌরসভাধীন পুরাতন বাজার কাটপর্ট্রি রোড এলাকায় সাথী নামের আবাসিক হোটেলের পর্দা টানানো রডের সঙ্গে থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পলাশ(৪০),নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মৃত পলাশ পৌরসভাধীন জেলা বোর্ড অফিসের পিছনে তালতলা এলাকার শাহিন মৃধার বাড়িতে বসবাসরত ভাড়াটিয়া বাসিন্দা ও বাউফল উপজেলা সুর্যমনি ইউনিয়নের ধুয়ালিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা শাহ-আলম হাওলাদার মিস্ত্রির ছেলে।মৃত পলাশ পেশায় একজন অটোচালক ছিলেন বলে জানান তার পিতা শাহ-আলম।
মঙ্গলবার (২০-জুলাই-২০২১ইং) তারিখ বেলা আনুমানিক ২ টার দিকে হোটেলের ৩১৬ নম্বর রুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।এসময় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম (পিপিএম), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এবং মৃত যুবক পলাশের পিতা শাহ-আলম লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশ সুত্রে, পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আকতার মোর্শেদ ও তদন্ত ওসি হুমায়ূন কবির বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদের ভিত্তিতে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে, সাথী আবাসিক হোটেলের ৩১৬ নং রুম থেকে গলায় তোয়ালে পেচানো যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
সাথী আবাসিক হোটেল পরিচালক- লিটু সিকদার সংবাদকর্মীদের বলেন, গত ১৯-জুলাই সোমবার সকালে মায়ের অসুস্থতার বরাত দিয়ে হোটেলে থাকার জন্য ৩১৬ নম্বর রুম ভাড়া নেয়।কিভাবে লাশ দেখতে পেলেন এমন প্রশ্নে বলেন, পরের দিন সকাল ১০ টার দিকে হোটেলের পরিছন্নকর্মী রুম পরিষ্কার করতে গিয়ে ডাকাডাকি করলে রুমের দরজা না খোলায় কর্তৃপক্ষের নিকট জানায়। পরে পটুয়াখালী সদর থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান।যে রডের সঙ্গে ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে সেখানে গলায় ফাঁস দিলে ভেঙে পড়ার সম্ভবনা থাকলেও ভাঙেনি এমন প্রশ্ন করলেও কেন কিভাবে সম্ভব হলো কিছুই জানেন না বলে জানান হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এব্যাপারে মৃত পলাশের পিতা শাহ-আলমের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, গত ২ মাস আগে বাসা থেকে বের হয়েছে পলাশ (৪০), এর মাঝখানে একবার তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। মৃত্যুর কারন কি জানতে চাইলে কোন কারন বলতে পারেনা শাহ-আলম।এছাড়াও পরিবারের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকার কারন জানতে চাইলে বলেন, হঠাৎ করে মাথা গরম করতো, কোথায় কখন যেত বলতো না, মাঝে মাঝে কোন কাজবাজে যেত না, এছাড়াও দুটি সন্তান রয়েছে মৃত পলাশের বড় ছেলেটা পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।ছেলের মৃত্যুতে কোন রহস্য কিংবা শত্রুতামুলক ঘটনা রয়েছে কিনা অথবা এমন কাউকে সন্দেহ হয় কিনা জানতে চাইলে কোন কিছুই জানেন না পিতা শাহ-আলম হাওলাদার।
এবিষয়ে সদর থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ আকতার মোর্শেদ বলেন, মৃত্যুর কারন জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত আসল কারন জানা যাবে না।যদি কোন রহস্যজনক ঘটনা ঘটে তাহলে বাদী চাইলে আইনি পদক্ষেপে যেতে পারবে, অন্যথায় পুলিশ কেস অপমৃত্যু বলে গন্য হবে।