জাহাঙ্গীর আলম মানিক দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা:
অবুঝ শিশু নাহিদা বয়স ৯ বছর ২ মাস আগেও বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করতো নাহিদা। ডান চোখটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে কিছুদিনের ব্যবধানে নাহিদা এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। হারিয়ে ফেলেছে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা আর খেলাধুলার শক্তিও। চিকিৎসার জন্য তার কোনো সঠিক ব্যাখ্যা নেই নাহিদার পরিবারের কাছে।
দামুড়হুদা উপজেলার বদনপুর এলাকার মামুন আলীর মেয়ে নাহিদা। দুই সন্তানের মধ্যে নাহিদা বড়। নাহিদা চোখের সমস্যার পর থেকে তছনছ দরিদ্র পরিবারটি।
নাহিদার খালা দৈনিক সকালের সময় নিউজকে বলেন, ২ বছর আগেও আমার মেয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল। একদিন হঠাৎ চোখের মধ্যে ছোট আঁচিলের মতো দেখা দেয় এতে চোখটা ফুলে যায়। তখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই। ডাক্তার বলেন, এলার্জি হয়েছে, ঠিক হয়ে যাবে।
সে অনুযায়ী ওষুধ দেন। টীকিথয়ন্তু ওষুধে কোনো কাজ হয়নি। চোখ অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেলে পরে চোখের ডাক্তারে
কাছে নিয়ে যাই। তিনি বলেন, চোখে ফোঁড়া হয়েছে অপারেশন করতে হবে। নাহিদা
বাবা আরও বলেন, এরপর চোখের অবস্থা আরও খারাপ হয়।
তখন চুয়াডাঙ্গায় চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা ঢাকায় নিয়ে অপারেশন করার পরামর্শ দেন।
মামুন আলী বলেন, আমাদের পক্ষে এতো টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, যা ছিল বিক্রি করে খরচ করেছি। সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে মেয়েটি আমার সুস্থ স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
টাকার অভাবে আর নতুন করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারিনি। এখন বাড়িতেই নাহিদা। চার মাস আগের নাহিদা আর এখনকার নাহিদা এক রকম নেই। ভেবেও কোনো কুলকিনারা করতে পারি না। নিয়তির লেখা না চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে এমনটি হলো আমরা জানি না।
নাহিদা কে দেখে চমকে ওঠেন সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম মানিক।
দৈনিক সকালের সময়ে নিউজ করেন।
তিনি বলেন, মনে হচ্ছে চোখটি আর স্বাভাবিক করা অসম্ভব। চোখটি তুলে ফেললে মেয়েটি বেঁচে যাবে।
অনেক টাকার দরকার নাহিদার পরিবারের জোগাড় করা সম্ভব নয় সবাই মিলে মেয়েটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিই। টাকার অভাবে মেয়েটি মরতে বসেছে
যদি আপনার মেয়ে হতো বা আমার বোন হত তাহলে কি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে কেউ পারত নাহিদা পরিবার খুব অসহায় তাদের দিকে আমরা একটু তাকাই অবশেষে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকারের শুভকামনা চাই নাহিদার পরিবার ।
নাহিদাকে সহযোগিতা কিংবা চিকিৎসা-সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে তার বাবা মামুন আলীর সঙ্গে
যোগাযোগ করতে পারেন।
(01986456938)