সেলিম চৌধুরী স্টাফ রিপোর্টারঃ-
চট্টগ্রামে পটিয়ায় পৌরসভা মাইজভান্ডারি গাউসিয়া হক কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগ সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক সমাজ সেবক দিদারুল আলম প্রতিদিনের ন্যায় চলমান লকডাউন কর্মহীন অসহায় ভাসমান মানুষের মাঝে খাবার বিতরণকালো বলেছেন,সবচাইতে বড় সফলতা হলো বেঁচে থাকতে পারা। যারা বড় বড় দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েও বাঁচার জন্য আকুল চেষ্টা করে টিকে থাকতে পেরেছে তারাই জীবনের সফল যোদ্ধা। আমরা অনেকেই সফলতা বলতে গাড়ি বাড়ি সম্পদ এসব বিষয়কে সফলতার প্রতীক বলে জানি। মানুষের জীবনে অর্থ সম্পদের অবশ্যই প্রয়োজন আছে কিন্তু একতরফা এসবকেই সফলতা বলতে পারি না। এমনো অনেক পরিচিত আছে যাদের জীবনে চরম থেকে চরম দুর্যোগ আসার পর ভেঙে যেতে যেতেও উঠে দাঁড়িয়েছে আবার নতুন করে শুরু করেছে সবকিছু। জীবনের নতুন অধ্যায় নিজে রচনা করে চলেছে। আমরা অনেকেই তার জায়গায় থাকলে হয়তো নিজেকে শেষ করার কথা ভাবতাম কিংবা মরন ফাঁদে পা দিতাম। কিন্তু সে তেমন কিছুই করেনি বরং ঘুরে দাঁড়িয়েছে।এখন আমরা তো তাকে অনেক বড় সেলিব্রিটি কিংবা অনেক অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে বিচার করে বলতেই পারি সে আর এমন কি! কিন্তু তাকে তার আপন, প্রিয়জন, সমাজ মারতে মারতেও শেষ করতে পারলো না। সে তো আল্লাহ দেয়া জীবন নামক যাত্রায় টিকে থাকতে পেরেছে, যুদ্ধে জয় হতে পেরেছে। দিদারুল আলম ৩১ জুলাই শনিবার রাতে পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অসহায় কর্মহীন অভুক্ত ভাসমান মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক জনতা ও দৈনিক ইনফো বাংলা’র সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী। সমাজ সেবক দিদারুল আলম আরোও বলেন, যে প্রিয় জনের তৈরি করা মৃত্যুর ফাঁদকে জয় করতে পারে সে জীবনে সুন্দর করে বেঁচে থেকেও দেখিয়ে দিতে পারে। বাঁচতে বা বেঁচে থাকতে হলে অর্থ থেকেও মনোবল অনেক দরকার। বর্তমান করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া উদ্বগ প্রকাশ করে সকলকে সচেতন থাকতে হবে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে মুখে মাস্ক ঘরে ফিরে সাবান দিয়ে হাত মুখ পরিস্কার পরিছন্নতা থাকার আহবান জানান পাশাপাশি সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে বলেন,অর্থের বোঝা নিয়েও অনেকে তার মতো বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে না। আর সে তো নিজের যুদ্ধে নিজে জয়ী। আর যে বেঁচে থাকতে পারে সে কাজেও একদিন সফল হবে। ময়ুর হয়ে চিড়িয়াখানায় বন্দী হওয়ার থেকে কোকিল হয়ে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকাও অনুপ্রেরণাময়।