

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গাজীপুর জেলার গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের অাঙ্গুটিয়াচালা এলাকায় পানিতে ডুবে নয়ন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অাজ ২ অাগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটায় ৫জন পানিতে নেমে সাঁতরে নদী পাড় হতে গিয়ে নয়ন ডুবে মারা যায়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে। নয়ন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পাঁচ ওলিপুর এলাকার অাসাদুল ইসলামের ছেলে।এবং বর্তমানে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২২নং ওয়ার্ডের বাহাদুরপুর এলাকায় ফিরোজের বাসায় ভাড়ায় থেকে স্থানীয় বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। নয়নের বড় ভাই রাজা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নয়ন বাহাদুরপুর এলাকায় শিশুদের সাথে খেলা করছিল। তখন বাবলু (৩০)পিতাঃ অজ্ঞাত, গাইবান্ধা এ/পি, বাহাদুরপুর এলাকায় ইলিয়াসের বাড়ির ভাড়াটিয়া, শাহীন (২৮), পিতাঃ জালাল, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পাঁচ ওলিপুর গ্রামে ও বর্তমানে বাহাদুরপুর রুবেলের বাড়ির ভাড়াটিয়া, অানন্দ (২০), পিতাঃ অজ্ঞাত, জামালপুর ও বর্তমানে বাহাদুরপুর ইলিয়াসের বাড়ির ভাড়াটিয়া, সিজু (২২), পিতাঃ অজ্ঞাত, বগুড়া ও বর্তমানে বাহাদুরপুর মোজাম্মেলের বাড়ির ভাড়াটিয়া, মাছ ধরার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে লোকজনের মাধ্যমে খবর পাই সে পানিতে নিখোঁজ হয়েছে। নয়ন সাঁতার জানতোনা, তাই সাঁতার কেটে নদী পাড় হওয়া সম্ভব না। ৪ জন নয়নকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ জন নদী পাড় হতে গেলে নৌকায় পাড় করে দিতে চাইলেও তারা রাজি হয়নি। ২জন নয়নের ২ হাতে ধরে পাড় করতে গেলে ২জন পাড় হয়ে গেলেও বাকিরা পাড় হতে পারেনি। সবাইকে নদীর পানি থেকে উদ্ধার করতে পারলেও নয়নকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। নয়নের পরিবারের দাবি শাহীনের বাবার সাথে নয়নের বাবার ঝগড়া হয়েছিল, সে জন্য পরিকল্পিতভাবে নয়নকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ অব্যাহত অাছে।
বিস্তারিত অাসছে।