আবদুল্লাহ আল মামুন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-
পটুয়াখালী’তে গাছ থেকে পেয়ারা পারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া (১৬) নামের এক কিশোরীর মুখে গভীর রাতে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
উক্ত ঘটনায় এসিড নিক্ষেপ করে হত্যা চেষ্টায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ০৪।
মামলার প্রেক্ষিতে এনায়েত নামে ভূক্তভোগীর এক দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাইকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
উক্ত ঘটনার ভূক্তভোগী ফেরদৌসি আক্তার (সুমাইয়া) পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের গেড়াখালী গ্রামের রাজা মিয়া গাজীর একাদ্বশ শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে।
ঘটনাসূত্রে সুমাইয়ার বোন রিতু আক্তার (১৯) জানান,” গত পরশু (২রা আগাষ্ট,সোমবার) চাচাতো ভাই এনায়েত (২৫) কে গাছ থেকে পেয়ারা পারতে নিষেধ করেন সুমাইয়ার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছোটভাই মোহাম্মাদুল্লাহ(১২)। নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে চাচাতো ভাই এনায়েত কিশোরীর ভাইকে মারধর করে, ফলে ওই কিশোরীর(সুমাইয়া) সাথে দীর্ঘক্ষণ চাচাতো ভাই এনায়েতের বাকবিতণ্ডা হয়। কিশোরী মুঠোফোনে কল করে উক্ত ঘটনা তার প্রবাসী মায়ের নিকট জানালে তার মা তাদেরকে চাচার নিকট বিচার দিতে বলেন। ফলে কিশোরী এবং তার ভাই তার চাচার নিকট পেয়ারা পারা নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দের বিচার দেয়। পরবর্তীতে রাতে কিশোরী ও তার ছোটভাই এবং দাদি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। গভীর রাতে ওই কিশরোরীর ঘরে সুরঙ্গ খুঁড়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি ওই চাচাতো ভাই এনায়েত ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ভূক্তভোগী ও তার বড় বোন রিতু।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগীর ছোটভাই মোহাম্মদুল্লাহও এসিডে দগ্ধ হয়েছে।
এসিডে দগ্ধরা বর্তমানে বরিশালে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আখতার মোর্শেদ জানান, ” এসিড নিক্ষেপ করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে এনায়েত নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত মামলার অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”