নূরুল হক, মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
মণিরামপুরে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্রীড়া সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আলোচনাসভা, দোয়া মাহফিল ও দরিদ্রদের মাঝে ৫কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুর সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আলহাজ্জ্ব কাজী মাহমুদুল হাসান। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শরিফুল ইসলাম রিপনের পরিচালনায় এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী জলি আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম. আলাউদ্দীন, উপজেলা যুবলীগনেতা ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুল কুদ্দুস, আয়ুব পাটোয়ারী, সুমন দাস, উপজেলা যুবলীগনেতা হাবিবুর রহমান রনি, পৌর যুবলীগের সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, যুবলীগনেতা বিল্লাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, আব্দুল হালিম গাজীসহ উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ২৬ বছর বয়সে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বাংলার মীর জাফরদের হাতে তিনিও শহীদ হয়েছিলেন। তিনি ছাত্রজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত কর্মী ছিলেন। নিজ যোগ্যতা বলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই সংগঠনের সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ‘৬৯-র গণঅভ্যুত্থান’ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী তারুন্যের দীপ্ত প্রতীক শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বি.এ. অনার্স পাস করেন।
শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় ব্যাপক উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন, বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। শেখ কামাল দেশের নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছিলেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত অনুশীলন করতেন।
আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা মাহবুবুর রহমান। পরে উপস্থিতিদের মাঝে তাবারক বিতরণ ও দরিদ্রদের মাঝে ৫কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়।