মোঃ তরিকুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধিঃ
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে চরম বিপাকে পড়েছে জনগণ। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ কখনো দিনে ১৫-২০ বার, কখনো ১০ মিনিটে তিন বার, আবার কখনো ঘন্টায় নয়বার লোডশেডিং চরম বিপাকে পড়েছে জনগণ। এ উপজেলায় শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, কোনো ঋতুতেই বন্ধ হচ্ছে না লোডশেডিং। বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহম্মদপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে। এই মহামারী করোনা কালে সারাদিন সার্ভারে সমস্যা থাকায় অনেকে রাতে কোভিড এর টিকারা রেজিষ্ট্রেশন করবে বলে আশায় ছিলো। কিন্তু কারেন্টের যে অবস্থা তা আর হবে না।
ভুক্তভোগীরা জানান, ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যানসহ বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া শিশু-বয়োবৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও মেলেনি কোন সুরাহা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং বেড়েই চলেছে। শহরে কিছুটা কম হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে লোডশেডিং।
কখনো কখনো একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে ১-২ ঘণ্টার আগে দেখা মেলেনা বিদ্যুতের।
মহম্মদপুর উপজেলায় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেসবুকে লিখেছেন, মহম্মদপুর উপজেলার কারেন্টওয়ালারা দয়া করে এভাবে আর বিজলী বাতির মত লোডশেডিং এ ফেলবেন না।
সারাদিনে যে কতবার এলো গেলো! যদি লোডশেডিং দিতে হয় নির্দিষ্ট সময় দিয়ে তারপর কারেন্ট সাপ্লাই করুন। আমাদের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের মূল্য আছে। কারেন্টের এভাবে ফুরুৎ ফুরুৎ আসা যাওয়াতে নষ্ট হলে আপনারা কি ক্ষতিপূরণ দিবেন।খালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী পলাশ বলেন, খুবই বিরক্তিতে আছি।
বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে কোন কাজ ঠিক মতো করতে পারছিনা। কম্পিউটার চালু করতে ৩-৪ মিনিট লাগে।কখনো কখনো কম্পিউটার চালুর আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়।এরই মধ্যে লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার কয়েক বার নষ্ট হয়েছে। ব্যবসায় অনেকটা ক্ষতি হচ্ছে।
বিনোদপুর ইউনিয়নের লিটন বলেন, আগে এত লোডশেডিং হতো না। এখন সারাদিন কাজ করার পর রাতে ঘুমাতে গেলেই দেখি বিদ্যুৎ নেই। অসহ্য গরমে ঘুমানো যায় না, ঘন ঘন লোডশেডিং যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। মামুন নামের একজন বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা মহম্মদপুর । কিন্তু প্রতিদিন নানান কাজের কথা বলে ৮/১০ বার কিংবা ঘন্টা ২০ বার লোডশেডিং দিচ্ছেন, যা জনগণের সাথে প্রতারণার শামিল। যা মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জোনাল অফিস কর্তৃক পরিচালিত।
বর্তমান অফিসের বড় কর্তারা এতো টায় প্রভাবশালী যে সবকিছুকেই বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের ইচ্ছে মতো বিদ্যুৎ অফিস পরিচালনা করে আসছেন, বিভিন্ন দপ্তরের অভিযোগও তিনারা নিজের পকেটে ভরে রাখেন।