এস এম খলিলুর রহমান, খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফঃ
৪ আগস্ট ২০২১ বুধবার যশোরের অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, ঘের মালিক লিটু বেগম। যশোর অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ও ৫নং ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতার কারণ অপরিকল্পিত ভাবে খনন করা ঘের কেটে পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত করায় ঘটনার প্রকৃত সত্য আড়াল করে অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লিটু বেগম, নামে ১ জন ঘের ব্যবসায়ীর ২ টি মৎস্য ঘেরের পাড় কেটে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, এতে তার ১০ (লক্ষ) টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ ধটনার বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ঘের মালিক মিঠু বেগম।
ঘের ব্যবসায়ী লিটু বেগম, আমাদের এ প্রতিনিধিকে জানান, ৩ আগস্ট মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ১১ টার সময় অসংখ্য উশৃঙ্খল যুবক জলাবদ্ধতার অজুহাত দেখিয়ে তার ২টি মৎস্য ঘেরের ভেড়ি কেটে দেয়, এবং ঘের পাড়ের বিভিন্ন প্রজাতীর সবজি গাছ নষ্ট করে। এ সময় লিটু বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে মারপিট করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
তবে এলাকাবাসী আমাদেরকে জানিয়েছেন ভিন্ন কথা, লিটু বেগম প্রকৃত সত্য ঘটনা আড়াল করে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। ৪নং ও ৫নং এলাকার লিয়াকত, সেলিম, সামাদ, মিন্টু বলেন, সম্প্রতি এই এলাকার পানি নিষ্কাশনের খালটি বন্ধ করে অপরিকল্পিত ঘের তৈরি করেন লিটু বেগম। এলাকাবাসী তাকে বারবার বলা সত্ত্বেও তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি, এবং খালের জায়গাটা ছাড়তে রাজি না হওয়ায়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধি গণ্যমান্য ব্যক্তি সহ প্রসাশনের নিকট বারবার স্বরনাপন্ন হয়েও কোন ফল পাইনি স্থানীয় এলাকাবাসী এই ঘের ২টির কারনে পৌরসভার ৪নং ও ৫নং ওয়ার্ডের ৫ (শত) পরিবার প্রায় দেড় মাস যাবৎ পানির নিচে ডুবে ছিল। কারোর কোন প্ররোচনা ছাড়াই স্থানীয় এলাকার পানি বন্ধী মানুষের স্বার্থে শত শত মানুষ সেচ্ছায় কোদাল হাতে নিয়ে ঘের দুটি কেটে দিয়েছে।
অত্র এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর মোল্যা মিজানুর রহমান (মিজা), সাংবাদিকদের বলেন, খাল বন্ধ করে ঘের তৈরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি সঠিক। লিটু বেগমকে এলাকাবাসী শত অনুরোধ করা স্বত্বেও তিনি পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে রেখেছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, লিটু বেগম নামে ১ জন নারী মৎস্য ঘেরে হামলা সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আমার বরাবর। যেহেতু ঘের ২ টি নওয়াপাড়া পৌর এলাকার মধ্যে, সেকারণে পৌর মেয়র, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম শামীম হোসেনকে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।