

সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
চেয়ারম্যানকে চাচাশ্বশুর দাবি করে বাড়ির সামনে তরুণীর অনশন
অনশনরত তরুণী।
বরগুনার তালতলীতে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে আমরণ অনশনে বসেছেন এক তরুণী। উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর বাড়ির সামনে অনশনে বসেছেন ওই তরুণী।
তরুণীর দাবি, চেয়াম্যানের ছোট ভাই জলিল ফরাজীর ছেলে রাকিব ফরাজি তার স্বামী। স্ত্রী হিসেবে মেনে না নিলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন ওই তরুণী।
জানা গেছে, শুক্রবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে অনশন করছেন তিনি। অনশন শুরুর পর থেকে চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী তার পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তাদের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এরপর থেকে তিনি সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
অনশনরত তরুণী বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর ভাই জলিল ফরাজীর ছেলে রাকিবের সঙ্গে তার একবছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আশ্বাসে রাকিব তার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। এরপর বারবার আশ্বাস দিয়েও বিয়ে না করে তার সঙ্গে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। পাশাপাশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য পরিবারের সদস্যদের দিয়ে হুমকি দিতে থাকে।
তরুণী জানান, তিনি তালতলী থানায় ধর্ষণ মামলার প্রস্তুতি নিতে গেলে চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীর মধ্যস্থতায় বিয়েতে রাজি হন রাকিব। এরপর ১৮ জুলাই (সোমবার) উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ারা হামিদ, থানার একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাসহ উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিন লাখ টাকা কাবিনে তাদের বিয়ে হয়।
ভূক্তভোগী তরুণী বলেন, আমি আমার স্বামীকে চাই। স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাই।
তরুণীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে বিয়ে করে এখন তারা অস্বীকার করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমি চাই তারা আমার মেয়েকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তুলে নিক।
এ বিষয়ে জানতে স্বামী রাকিব ও তার পিতা জলিল ফরাজীর সঙ্গে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাদের দুজনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজীকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করে বলেন, আমি ব্যস্ত আছি এবং এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। ছেলের বাবার সঙ্গে আপনারা যোগাযোগ করেন বলে কল ডিসকানেকস্ট করে দেন।
তালতলী থানার পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী গতকাল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অনশনরত তরুণীর দাবি, তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে নেওয়া এবং তার স্বামীকে তার কাছে ফিরিয়ে না দেওয়া হলে তিনি এখান থেকে কোথাও যাবেন না।