
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ-
পটিয়া পৌরসভা আওয়ামীগ নেএী বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা ফাতেমা বেগম বলেছেন,বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী করোনার ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে বাংলাদেশেও দৈনিক রোগীর শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে কয়েক গুণ। কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই আজরবিবার (১ আগস্ট) থেকে পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকার। ঈদের পর যেসব পোশাককর্মী গ্রামে অবস্থান করছিলেন এমন খবরে তারা এরই মধ্যে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা পিকআপ, ট্রাক ও ইঞ্জিনচালিত ভ্যান ও রিকশায় বাড়ি থেকে রওয়া হয়েছেন। ঢাকামুখী মানুষের স্রোতে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই। অনেকের মুখে মাস্ক ছিল না।স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে জনচলাচল বাড়ায় সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখীর আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, লকডাউন স্থায়ী সমাধান না। করোনা কবে যাবে তা কেউ বলতে পারে না। টিকা গ্রহীতারাও নিরাপদ নয়। টিকা নেওয়ার পরও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই এখন স্বাস্থ্যবিধি মানা ও মাস্ক পরাই শেষ ভরসা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু করা সম্ভব। একই সঙ্গে নিবন্ধন উঠিয়ে দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনার টিকা দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানার পরিপ্রেক্ষিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়লে চিকিৎসাসেবা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। এখনই সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই। বর্তমানে যেভাবে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে প্রচণ্ড মানসিক চাপে রয়েছেন ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা। লাশ আর রোগী দেখতে দেখতে ক্লান্ত তারা। তাই জনগণকে সচেতন থাকতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকারের টিকা গ্রহণ করে করোনা প্রতিরোধ নিজের জীবন ও পরিবারকে সুরক্ষা করতে হবে।