

স্টাফ রিপোর্টার : ইকবাল মোরশেদঃ
লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার বদরপুর গ্রামে এক গৃহবধু শান্তার দুই স্বামী সুজন না কি শুভ। এনিয়ে চলছে
সমালোচনার ঝড়।
স্বামী কে সুজন নাকি শুভ তা প্রমাণ করতে একের পর এক নাটক করেই চলছে শান্তা ।
এই ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শান্তা তার স্বামী শুভ কে ০১/০৮/২০২১ ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ করেন ।
শান্তা সাংবাদকর্মী দের বলেন সুজনের সাথে বিয়ের আগ থেকেই শুভ এর সাথে সম্পর্ক হয় আমার শুভর সাথে আমার ফেসবুকে পরিচয় মেসেঞ্জারে হাই হ্যালো থেকেই শুরু হয় প্রেমের সম্পর্ক তখন আমি জানতাম না শুভ যে হিন্দু দীর্ঘদিন সম্পর্ক চলাকালে শুভর বন্ধ শুভর বন্ধু সজীবের সহযোগিতায় আমাদের দুজনের বিয়ে হয় এতো দিন এই সব ঘটনা বলা হয় নাই কাউকে।
শুভর কথা মতো সব কিছু ঠিকঠাক মতো চলছিলো পাসপোর্ট করতে গিয়ে ধরা পড়ে প্রতারনার এমন চিত্র।
আর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে প্রতারক চক্র উঠে পড়ে লেগেছে এক দল।
এই ঘটনা এলাকা ছড়িয়ে পড়ে সবার মনে প্রশ্ন জাগে শান্তার স্বামী কে সুজন নাকি শুভ ছেলে টা কার সুজন এর নাকি শুভর কে এই ছেলেটির পিতা ।
সুত্রে জানায়,উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের আশোক মুন্সি বাড়ির বেল্লাল হোসেনের মেয়ে জান্নাত আক্তার
শান্তাকে পাশবর্তি বদরপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের পুত্র আমির হোসেন সুজনের সাথে ২০১৭ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরে দম্পত্তির সংসারে ছেলে সন্তান জম্ম হয়।
অপরদিকে ২০১৬ সালে ২০ই জুন মাসে জান্নাত আক্তার শান্তার সাথে গাজীপুর গ্রামের জয়নাধন শীলের ছেলে শুভ এর বিয়ে
হয়ে এমন একটি কাবিন নামা নিয়ে ধুজালের সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যায় ওই কাবিননামার দিনেই শুভ চন্দ্র
শীল আইনজীবির মাধ্যমে নোটারী পাবলিকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহন করে এবং একই দিনেই ৫লক্ষ টাকা দেনমোহরে জান্নাতকে বিয়ে করে।
সরেজমিনে গিয়ে স্বামী আমির হোসেন সুজনকে না পেয়ে তার পিতা নুর মোহাম্মদ থেকে জানতে চাইলে,তিনি বলেন,আমার পুত্রবধু জান্নাত আক্তার শান্তা কালিকাপুর দেওয়ান বাজার নাপিত জয়নাধন শীলের ছেলে শুভ চন্দ্র শীলকে বিয়ে করে বিদেশ যেতে পাসর্পোট করতে দেয়। পাসর্পোটে স্বামীর নাম শুভ দিলেও সন্তানের বাবার নাম আমার ছেলের নাম আমির হোসেন সুজন দেয়। এতে পাসপোর্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা এলাকাতে তদন্তে আসলে বিষয়টি জানাজানি হয়। শুনেছি বাসু বাজারস্থ এলাকার সজিব নামের এক দালালকে দেড় লক্ষ টাকা শুভ পাঠিয়েছে। সজিব জান্নাত এবং তার সন্তানকে পাসর্পোট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।
শুভ চন্দ্র শীলের পিতা জয়নাধন শীল বলেন,আমার ছেলে বিদেশ থাকাবস্থা জান্নাতকে সাথে সম্পর্ক।
সম্পর্ক থাকাবস্থায় আমাকে একবার ফোন দিয়ে জান্নাতকে টাকা দিতে বলে। ছেলের কথা মতো টাকা
দিলেও জান্নাত পরে ওই টাকা ফেরত দেয়। ২০২০ সালে বিদেশ থেকে আসার পরে হিন্দু ধর্মানুসারে বিয়ে
করে আবার বিদেশ যায়। এখন লোকের মুখে মুখে শুনি মুসলিম গৃহকধুকে আমার ছেলে বিয়ে করেছে। তবে
এলাকাতে প্রচার হওয়ার পর থেকে আমার ছেলের মোবাইল বন্ধ।
এব্যাপারে গৃহবধু জান্নাত আক্তার শান্তা বলেন,বিদেশ থাকাবস্থায় শুভ এর সাথে আমার ফেকবুকে পরিচয় হয়। তিন বছর পরিচয়ে কখনো বলেনি শুভ হিন্দু।
শুভ এর বন্ধু সজিব এর সাথে কয়েক বার লক্ষীপুর বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাই এবং আমাকে বিদেশ নিবে বলে কাগজে স্বাক্ষর নেয় ।
শুভ বিদেশ ফিরে
যাওয়ার পরে আমি পাসপোর্ট করতে দিলে ঝামেলা শুরু হয়। তবে শুভ এর কথামতোই বাসু বাজার এলাকার সজিবের কাছে কাগজপত্র দিয়েছি।
করপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিব বলেন,ঘটনাটি লোকের মুখে শুনেছি। এই ধরনে ঘটনায় গ্রাম্য আদালতের একতিয়ার নয়।