সোহেল রানাঃকুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
অনেকের কাছেই ধারণা টিকা নিলে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়বে, টিকা নেয়ার পরও করোনা হয় এমন জল্পনা কল্পনার ডালপালা সাধারণ মানুষের মুখে জনস্রুতি ছিল। পাশাপাশি শিক্ষিত সচেতন জনগোষ্ঠীর একাংশ ও গৃহিনীদের বড় একটি অংশ এখনও করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন করে নাই কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগছে। তাদের সকলকে গনটিকাদান কর্মসূচীর আওতায় আনতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে একসাথে কাজ করা সময়ের দাবী।

করোনা প্রথম ধাপের একজন ফ্রন্ট ফাইটার যিনি ঐ সময় একাধারে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশ, করোনাকালিন খাদ্য সহায়তা,অসহায় দের নিয়ে কাজ করা,করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করা,জেলা পুলিশ কুড়িগ্রামের করোনা সংক্রমন প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে ২০০ স্বেচ্ছাসেবির স্বেচ্ছায় অংশগ্রহনে উলিপুর চিলমারী অংশে সচেতন মূলক ব্যানার, ফেস্টুন,মাইকিং ও হাতধোয়া কর্মসূচীতে সহযোগিতা করেছেন। তিনি সস্ত্রীক ও সহকর্মী দের সাথে নিয়ে টিকা গ্রহনের মাধ্যমে গণটিকাদান কর্মসূচীকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং সিদ্ধান্তহীনতায় থাকা গৃহিনী ও পরিচিতদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছেন।

উলিপুর উপজেলার পৌরসভা সদর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপ্রিয় মুখ সমাজকর্মী ও এক সময়ের সফল ছাত্রনেতা জনতার কলম সৈনিক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ কুড়িগ্রাম জেলা সভাপতি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপ প্রচার সম্পাদক,সাংবাদিক আবু জাফর সোহেল রানা নিজে টিকা গ্রহণ করে সাধারন মানুষের ভয় দূর করে দিতে এবং সঙ্গীয় সংবাদকর্মী, সমর্থক, আত্মীয়-স্বজন, শুভাকাংখীদের করোনা ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ ও উদ্বুদ্ধ করতে গণ টিকাদান কর্মসূচী কেন্দ্র পরিদর্শন করে উৎসাহিত করেন ।

সারাদেশের মতো কুড়িগ্রাম উলিপুরে শনিবার(০৭ আগষ্ট)সকাল ৯ টা থেকে দুপুড় ২ টা পর্যন্ত উপজেলার ধামশ্রোণী ইউনিয়নসহ মোট ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এবং উলিপুর পৌরসভার নারিকেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সহ সর্বমোট সাতটি কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়।রবিবার(০৮ আগষ্ট) উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সহ বাকি ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে বিনামূল্যে করোনা ভাইরাসের টিকা ২৫ঊর্ধ জনগণকে “আগে আসলে আগে পাবেন”ভিত্তিতে প্রদান করা হচ্ছে।।
এছারা উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কেন্দ্রে করোনায় সংক্রমণের উর্ধগতি ঠেকাতে গণ টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশের মত উলিপুরে করোনার টিকা নেয়ার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল মানুষের ভীড়। উদ্বোধনের প্রথম দিনে পৌরসভার নারিকেলবাড়ি সর.প্রাথ.বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় সাংসদ উলিপুরের গনমানুষের জনপ্রিয় নেতা অধ্যক্ষ এম এ মতিন এমপি সহ কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার,সিভিল সার্জন,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র এবং কাউন্সিলরবৃন্দ।

সমাজকর্মী ও জনতার কলম সৈনিক সাংবাদিক আবু জাফর সোহেল রানা বলেন,টিকা গ্রহণ করে নিজেরা সুুুস্থ্য থাকুন এবং পরিবার ও সমাজকে নিরাপদ রাখুন।তিনি আরো বলেন উলিপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের কেন্দ্রগুলো সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে টিকা প্রদান কার্যক্রম চলছে। তিনি সকলকে অনলাইন রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে টিকা গ্রহণের পাশাপাশি অনলাইন নিবন্ধন করা সহজ ও সম্ভব হয় নাই এরকম প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সকল ২৫ ঊর্ধ্ব পুরুষ নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি কার্ড সাথে নিয়ে গণটিকাদান কর্মসূচীর কেন্দ্রে এসে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন নেয়া ও অন্যদের উৎসাহিত করতে বিনীতভাবে অনুুুরোধ জানান।

স্থানীয় সাংসদ এম এ মতিন এমপি তার ভেরিফাইড ফেসবুক স্টাটাসে সকল পেশার মানুষদের উৎসাহিত করেছেন,বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে সরাসরি জনগন কে টিকা নিতে উদ্বুূূূদ্ধ করেছেন। জনসচেতনতায় ফেসবুক স্টাটাস কে কোড করে মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম জেলা সভাপতি সাংবাদিক আবু জাফর সোহেল রানা বলেন,এমপি মহোদয়ের আন্তরিকতায় টিকাদান কর্মসূচী কে শতভাগ সফল করার উদ্যোগ কে গ্রহণ করে উপজেলার সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও তাদের স্ত্রী গণদের এগিয়ে আসা দরকার। আমরা দেখেছি জনপ্রতিনিধিদের সহধর্মিণীগণ সাধারন মানুষদের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় ও মহিলাদের মাঝে সহজেই প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। তাদের পাশাপাশি স্থানীয় সমাজকর্মী,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব,বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ(যারা এখনও টিকা গ্রহন করেনি) প্রচার প্রচারনা চালিয়ে নিজ নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত থেকে প্রথম টিকাটি গ্রহন করলে সবখানে এর ইতিবাচক প্রভাব পরবে ।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিভাগের গবেষনায় এমনকি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে টিকা গ্রহনকারী মানুষদের নিয়ে গবেষনা করে দেখেছেন, যারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সংখ্যা খুবই কম।করোনা ভ্যাকসিন গ্রহনে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও অসুস্থ্য হওয়ার কোন নজির নেই।
গবেষকগন জানিয়েছেন,
টিকা গ্রহনের পর সংক্রমিত হয়ে কোভিড-১৯ পজিটিভ হলে মৃত্যুর ঝুকি অনেক কম।

উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রানা দম্পত্তির টিকা গ্রহনের সময় উপস্থিত ছিলেন উলিপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সম্পাদক ও আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শাহীন, বিএমএসএফ উলিপুর এর আল আমিন খান লিমন, সাংবাদিক রাশেদুল সরকার রাজ্জাক,বস্ত্র মালিক সমিতির সদস্য গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী আনোয়ার হোসেন,ব্যাবসায়ী মাঈনুল হাসান জিকু,ফাজকুরুনি আহমেদ প্রমুখ।পরে তিনি হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রে যান এবং পরিচিতদের যারা টিকা নেননি তাদের সকলকে টিকা নেয়ার জন্য বলেন। তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অস্বচ্ছল ও অসচেতন মানুষদের করোনা ভ্যাকসিন গ্রহন নিশ্চিত করতে কাজ করবেন বলে জানান। টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার একমাস পর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে হবে।টিকা নেয়ার পরও সকলকে মাস্ক ব্যাবহার নিশ্চিত করতে হবে।