সাইফুল্লাহ নাসির,আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীতে আমন ধানের বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা বীজ সংকটের অযুহাত দেখিয়ে গোপনে বেশী দামে বীজ বিক্রি করছে বলে ভূক্তভোগী কৃষকরা অভিযোগ করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিরামহীন ভারী বর্ষণে উপজেলার ৩১৮ হেক্টর আমন ধানের বীজতলা পঁচে নষ্ঠ হয়ে গেছে। পুনঃরায় ভূক্তভোগী কৃষকরা বীজতলা তৈরির উদ্যোগ নেয়। এ বীজতলা তৈরী করতে ১৯৫ মেট্রিকটন আমন ধানের বীজের প্রয়োজন হলেও এই মুহুর্তে কৃষকদের কাছে বীজ ধান না থাকায় তারা বিএডিসি, উপজেলা কৃষি অফিস ও বীজের দোকানে হন্যে হয়ে বীজ খুঁজছেন। কিন্তু বীজের সংকট থাকায় কোথাও তারা বীজ পাচ্ছেন না।
এদিকে বীজের চাহিদাকে পুঁজি করে আমতলীর বেশ কয়েকজন অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা অবৈধপথে বিএডিসির ৮০০ কেজি ধান এনে গোপনে বেশী দামে বিক্রি করছেন বলে একাধিক কৃষকরা অভিযোগ করছেন। উপজেলার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ৩৬০ মূল্যের ১০ কেজি ধানের প্যাকেট ভূক্তভোগী কৃষকদের কাছে ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আজ (সোমবার) সকালে আমতলী পৌরসভার সরকারী কলেজের সামনে গাজী বীজ ভান্ডারের মালিক অসাধু ব্যবসায়ী রত্তন গাজী বিএডিসির ৩৬০ টাকার ১০ কেজি বীজ ধানের প্যাকেট ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। এছাড়া বাঁধঘাট চৌরাস্তায় তালুকদার টেডার্স, মামুন স্টোর, হাওলাদার টেডার্স, আরিফ স্টোর ও ইউনুস হাওলাদারের দোকান ঘুরে আমন ধানের বীজ ধান না পেয়ে অনেক কৃষক খালি হাতে বাড়ী ফিরে গেছেন।
শাহআলম, সোহরাফ মীরা, কালু মুন্সী, মেজবাউদ্দিন মোল্লা, জুয়েল মৃধাসহ বীজ কিনতে আসা একাধিক কৃষকরা অভিযোগ করেন, কলেজের সামনে রত্তন গাজীর দোকান থেকে তারা ১০ কেজির বিএডিসির বিআর-২৩ ধানের বীজের প্যাকেট ৮০০ টাকা দরে ক্রয় করেছেন। এছাড়া অন্যান্য ব্যববসায়ীরাও গোপনে একই দামে তা বিক্রি করছেন বলে কৃষকরা জানায়।
গাজী বীজ ভান্ডারের মালিক রত্তন গাজী বেশী দামে বীজ বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ৩৬০ টাকার ১০ কেজি বীজ ধানের প্যাকেট তিনি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছেন। কারন বীজ ধানের সংকটের কারনে আমাদের এখন বেশী দামে আমনের বীজ কিনতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম মুঠোফোনে বলেন, বিরামহীন ভারী বর্ষণে উপজেলার ৩১৮ হেক্টর আমনের বীজতলা পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে বীজ ধানের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশী দামে বীজ বিক্রির সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছি।