নিজস্ব সংবাদদাতা পটিয়াঃ-
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রবাসীর সাথে প্রেমের টানে স্বামীর ঘর ছাড়লেন দুই সন্তানের জননী তছলিমা আকতার প্রকাশ তামান্না(২৭)। সে পটিয়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড সবজার পাড়ার জিয়াউদ্দিন প্রকাশ রাসেলের স্ত্রী। গত ৮ই আগষ্ট স্বামী মো: জিয়াউদ্দিন প্র: রাসেল বাদী হয়ে পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্ত্রীসহ ৫ জনকে আসামী করে (সি.আর-২৯২/২০২১ইং) মামলা দায়ের করা হয়। আদালত পটিয়া থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক একমাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। আসামীরা হলেন, স্ত্রী তছলিমা আকতার প্রকাশ তামান্না(২৭), শ্বাশুড়ি বেবী আকতার (৪৭), শ্বশুর শরাফত আলী (৫৫), শ্যালক ইকবাল হোসেন রুবেল (৩১), শালিকা নাজমা সোলতানা পপি (২৪) ও হাটাজাহারী এলাকার প্রবাসী প্রেমিক মো: কাইয়ুম(৩৫)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানাযায়, পটিয়া পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মো: আবুল বশরের পুত্র মো: জিয়াউদ্দিন প্র: রাসেলের সাথে উপজেলার দক্ষিণ ভূষি ইউপি’র ৭নং ওয়ার্ড পূর্ব ডেঙ্গাপাড়া এলাকার শরাফত আলী’র কন্যা তছলিমা আকতার প্রকাশ তামান্না’র সাথে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে বিবাহ হয়। বর্তমানে তাদের সংসারে দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে। রাসেল সিলেট জেলার ফুলকলিতে চাকুরি করে থাকেন। ইতিমধ্যে তার স্ত্রী তামান্নার সাথে দুবাই প্রবাসী মো: কাইযুমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রথমে পরিচয় পরে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এটি আরো ঘনিষ্ট করে দেয় তামান্নার ছোট বোন দুবাই প্রবাসী হ্যাপি। গত ৮ ফেব্রুয়ারী তামান্না তার দুই সন্তান রেখে শ্বশুরবাড়ি থেকে স্বামী রাসেলের ৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মূলবান জিনিস নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় বলে মামলার এজাহার সুএে জানাযায় । স্বামী রাসেল প্রেমিক কাইযুমের সাথে তার স্ত্রী’র বিভিন্ন মোবাইল হট চ্যাটিং এর মাধ্যমে অবৈধ কার্য্যকলাপ, নোংরা ছবি, ভিডিও চিত্র পায়। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র সাথে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি নিয়ে থানায় রাসেল একটি অভিযোগ করেন এর প্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ভুলবুঝাবুঝি অবসান করে ঘর সংসার করার পরার্মশ দেন পটিয়া থানার পুলিশ। কিন্তু তাতেও সে রাজি না হয়ে তার বাপের বাড়িতে অবস্থান করছেন। বর্তমানে রাসেল দুই সন্তান নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে এবং স্ত্রীকে ফেরত পেতে আদালতের মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত রাশেদুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে পটিয়া আদালতের একটি মামলা তদন্তে জন্য দেয়া হয়েছে। তা গতকাল সোমবার পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আদালতের নির্দেশমতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।