স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরের শ্রীপুরে পাওনা টাকা জেরে বসতবাড়িতে লুটপাট ও ৬টি দোকানে হামলার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (৯ আগষ্ট) গভীর রাতে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ এলাকার এমসি বাজারে পূর্বপাশে শামসুল আলমের মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শামসুল আলমের ছেলে আল-আমিন বাদী হয়ে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ৯জনকে অভিযুক্ত করে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযুক্তরা হলো একই এলাকার মাজহারুল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম বাবু (৩০),আজিজুর রহমান জন (৩০),সেলিম (৩০),হেলাল বেপারি (৪৫),ইমরান (২৪),রাকিব(২৩),লিয়ন (২৫),রিয়েল (৩২) ও ফারুক (২৫)।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও আল আমিন জানান,আমার চাচাতো ভাই খাইরুল ইসলাম বাবু ২ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবসা করার জন্য আমার মায়ের কাছ থেকে ১লাখ ১০ হাজার টাকা ধার চায়। পরে আমার মা সরল বিশ্বাসে টিএসএস নামক একটি এনজিও থেকে ১লাখ ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করে খাইরুলকে দেয়। কিন্তু খাইরুল টাকা নেয়ার পর থেকে অনেকবার বলার পর ও পরিশোধ করেনি। সর্বশেষ গত সোমবার (৯ আগষ্ট) এমসি বাজারে টাকা চাইলে টাকা ফেরৎ দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। কথা কাটির এক পর্যায়ে আমাকে মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে ওই দিন রাত আনুমানিক ২টার সময় হঠাৎ করে খাইরুলের নেতৃত্বে ৯/১০জন মিলে দেশীয় অস্ত্র রামদা লাঠি,লোহার রড,চায়নিজ কোড়াল নিয়ে আমার মার্কেটের ৬টি দোকানে হামলা চালিয়ে মার্কেটের বারান্দার উপড়ের টিন কেটে কুচি কুচি করে। মার্কেটের অপর দোকানদার ঔষধ, বিকাশ ও ফ্লেক্স্রিলোড ব্যবসায়ী শরীফুল ইসলামের দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লুট করে নেয় বলে তিনি দাবী করেন। এ ছাড়া বাড়ির মেইন গেইট কুপিয়ে বসতঘরে ভিতরে প্রবেশ করে আলমারির ড্রয়ার ভেঙ্গে মহিষ বিক্রির প্রায় ৬ লাখ টাকা ও ১০ ভরি র্স্বণলংকার লুট করে নিয়ে যায় বলে আল আমিনের মা রুবিয়া বেগম দাবী করেন। পরে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করলে শ্রীপুর থানার এসআই নাজমুল ইসলাম আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে খাইরুল পলাতক রয়েছে।
অভিযুক্ত খাইরুলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে না পাওয়ায় তার বাবা মাজহারুল ইসলাম জানান, আমার ছেলের কাছে টাকা পাবে সঠিক কিন্তু তারা আমার ছেলেকে আগে মারধর করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বাড়িতে হামলা করছে। তবে ড্রয়ার থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকা,সোনার গহনা লুটপাট করে বিষয়টি সঠিক নয়।
শ্রীপুর থানার অফির্সাস ইনর্চাজ(ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়ে একজন অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।