মোঃ তরিকুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধি:
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ২নং বিনোদপুর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়াডে খালিয়া পশ্চিমপাড়ার রাস্তাটি সংস্কার সম্প্রসারন ও পাকাকরনের অভাবে হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাটি কর্দমাক্ত কাদায় পরিণত হয়। এসময় পথচারীদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আক্তারের বাড়ি থেকে হামিদ মাস্টার্স এর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৭৮০মিটার কাচা রাস্তা য়ার প্রস্থ ৫.৫ মিটার। রাস্তার আইডি নম্বর ২৫৫৬৬৫১৫০। এই রাস্তাটিতে রয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল ও দুইটি মসজিদ যা বৃষ্টির হলেই ছোট ছোট মাছুম বাচ্চাদের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরে। এই মাছুম বাচ্চাও ও সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে রাস্তাটি পাকা করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। দেশ স্বাধীনের পর থেকে রাস্তাটি পাকাকরনের দাবি উঠেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে। বিভিন্ন সময় আশ্বাস ও পাওয়া যায় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সারা বাংলাদেশে বৃহৎ উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে।
নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের কাছ থেকে ভোট নেয়। কিন্তু নির্বাচনের পর জনপ্রতিনিধিরা তাদের আর কোন খোঁজ খবর নেয় না। ফলে খালিয়া গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ চরমে।
এ ছাড়াও খালিয়া বাজার থেকে মাগুরা মহম্মদপুরে যাওয়ার রাস্তাটির দু’পাশের ভেঙ্গে গিয়ে এতটাই সরু হয়ে গেছে, যেখান দিয়ে একটা ভ্যানগাড়ী নিয়ে যাওয়াও কষ্টকর। ওই এলাকায় কোন লোক গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে সময় মতো হসপিটালের নিয়ে যাওয়া কষ্টকর।
খালিয়া গ্রামের আবু হানিফ মাস্টার সহ আরোও অনেকে আক্ষেপের সুরে বলেন, নেতারা ভোটের সময় এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেয়, নির্বাচিত হওয়ার পর টাকা বিনিময়ে কার্ড বেচাকেনা করে, উন্নয়ন হয় শুধু নেতাদের। আমাদের অবহেলিত এলাকার রাস্তাঘাট অবহেলিতই থেকে যায়। বর্ষার মৌসুমে এলাকাবাসীর যে কতটা কষ্ট হয়, তা স্ব-চক্ষে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করতে পারবেন না। আমাদের তো আর ক্ষমতা নেই, টাকা দিয়ে রাস্তা পাকাকরনের।