

স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরের শ্রীপুরে এক স্কুল ছাত্রী প্রাইভেট শেষে বাড়িতে না পৌছেঁ ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে মারুফা আক্তার (১২)। সে টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। গত সোমবার (৯ আগষ্ট) সকালে টেপিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা সালমা আক্তারের বাড়িতে প্রাইভেট পড়ে সকাল ১০টার সময় নিজবাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়েছে বলে তার বাবা আমিনুল ইসলাম জানান। মেয়েকে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে ওই দিন সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীর বাবা আমিনুল ইসলাম জানান,আমার মেয়ে করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুল শিক্ষিকা সালমা আক্তারের কাছে প্রাইভেট পড়তো। প্রায় সময়ই আমার মেয়েকে একই এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে বখাটে মোজাম্মেল আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই সময় উত্যক্ত করতো। মোজাম্মেল এর একাধিক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। আমি থানায় সাধারণ ডায়েরী করার পর মোজাম্মেল তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার থেকে আমার মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে বলে জানায়। আমি যাতে মামলা মোকদ্দমাতে না জড়াই সে জন্য হুমকি দিচ্ছে,এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে পরিবারসহ এলাকা থেকে উৎক্ষাত করার অনবরত ভয় দেখাচ্ছে। বিষয়টি আমি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল ইসলামকে জানানো হয়েছে,কিন্তু আজ ৪দিন হয়ে গেলে এখনো পুলিশ আমার মেয়েকে উদ্ধার না করতে পারায় হতাশায় ভোগছে আমার পরিবারটি। অভিযুক্ত মোজাম্মেলের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকা ছেড়ে মারুফা আক্তারকে নিয়ে পলাতক রয়েছে।
তেলিহাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন পিওর বলেন, মোজাম্মেল একাধিক বিয়ে করছে। মারুফা আক্তারকে সে তুলে নিয়ে গেছে এটা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে। আমি বারবার মেয়েটিকে ফেরৎ দেয়ার জন্য বলার পর ও এখনো মেয়েটি ফেরৎ দেয়নি।
শ্রীপুর থানার তদন্তকারী কর্মর্কতা এসআই নাজমুল ইসলাম জানান, খুব দ্রুত তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিখোঁজ স্কুল ছাত্রী মারুফা আক্তারকে উদ্ধারের অভিযান অব্যহত রয়েছে। তবে মনে হয় প্রেম ঘটিত কারণে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারে।